বর্তমানে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সাধারণ মানুষের জীবনে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে চুরি–ডাকাতি, ধর্ষণ, এবং হত্যার মতো গুরুতর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ভঙ্গুরতার সুযোগ নিয়ে পেশাদার অপরাধীরা তাদের অপরাধ কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক সহিংসতা ও থেমে নেই; আধিপত্য বিস্তার কিংবা ক্ষোভের জেরে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা পত্রিকার পাতায় নিয়মিত স্থান করে নিচ্ছে।
আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেই পুলিশবাহিনীকে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। পুলিশবাহিনী সংস্কারের এই উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার তিন মাস পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা জনমনে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শক্তিশালী, কঠোর ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীকে শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং সামাজিক বন্ধন পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা অপরিহার্য। তৎক্ষণাৎ ও কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির এই ধারা বৃহত্তর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট ডেকে আনতে পারে। তাই যেকোনো মূল্যেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাজে শান্তি–শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে।
তুহিন চাকমা
শিক্ষার্থী, কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল বিভাগ,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।