আইনজীবী হত্যা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী রাশেদা গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

নগরীর চকবাজারে আইনজীবী ওমর ফারুক ওরফে বাপ্পী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদা বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আইনজীবী ওমর ফারুক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদা বেগম গত ৬ বছর যাবত পলাতক রয়েছে। চলতি মাসের ২৬ জুলাই চাঞ্চল্যকর ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যা মামলার রায়ে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রাশেদা বেগম কক্সবাজারের চকরিয়া থানার জাকির হোসেনের মেয়ে ও নিহত আইনজীবী ওমর ফারুক ওরফে বাপ্পীর স্ত্রী। গত রবিবার নগরীর সৈয়দ শাহ রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব জানায়, নিহত আইনজীবী বাপ্পী মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে রাশেদা বেগমের সাথে পরিচিত হন এবং পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর দাম্পত্য কলহের জেরে দুজনেই দুজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ ও কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর নিহত আইনজীবী স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করলেও তাদের মধ্যে কলহ থামেনি। ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় তারা দুজনেই চকবাজারের নিজ বাসায় ফেরেন। পরদিন সকাল ৬টায় বাড়ির দারোয়ান ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে বাড়ির মালিকসহ রুমে প্রবেশ করে আইনজীবী ফারুককে হাতমুখ স্কচটেপ দ্বারা পেঁচানো ও পা দু’টি লাল ফিতা দ্বারা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে নিহতের পিতা আলী আহমেদকে এবং থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে নিহতের পিতা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় তার স্ত্রী রাশেদা বেগমকে আসামি করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, মামলাটি তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত বিচারকার্য শুরু করেন। এ মামলায় সর্বমোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই নিহত আইনজীবীর স্ত্রী রাশেদা বেগম ও হুমায়ুন রশিদকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড এবং আল আমিন (২৮), আকবর হোসেন রুবেল ওরফে সাদ্দাম (২৩) ও মো. পারভেজ আলীকে (২৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ের সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন রশিদ এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পারভেজ আলী জেল হাজতে ছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি রাশেদা বেগম ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল আমিন এবং আকবর হোসেন পলাতক ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে
পরবর্তী নিবন্ধপন্টুনটি স্থাপন করা গেল না মহেশখালী জেটিতে