চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল করার জন্য দেশি–বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করে আমাদের সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার জন্য পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানান ষড়যন্ত্র করছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণকে ধৈর্য ধরতে হবে। তিনি বলেন, কোনো চক্রান্তের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। চট্টগ্রামে হত্যাকাণ্ড ও নাশকতায় যারা জড়িত, তাদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সম্মিলিত হাকার্স ফেডারেশনের মতবিনিময় সভা ও কমিউনিটি পুলিশিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফুটপাতের হকারদের শৃঙ্খলা আনয়ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে হকার্স প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত হাকার্স ফেডারেশনের সহ–সভাপতি আবুল খায়ের টিটুর সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সিনিয়র সহ–সভাপতি আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক হকার্স বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাতেন, আলকরণ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, রিয়াজউদ্দিন বাজার শ্রমিক দলের সভাপতি মো. সেলিম খান, মহানগর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, হকার্স নেতা মহসিন দুলাল, আবুল কালাম, হারুন সওদাগর, মো. রিয়াদ, আবদুল মোতালেব, শফিকুর রহমান, মাঈন উদ্দিন, মো. বাবুল ও মো. ডালিম।
আবুল হাশেম বক্কর তার বক্তব্যে বলেন, হকাররা চোর–ডাকাত বা ছিনতাইকারী নয়, তারা স্বল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করে। মার্কেটের ব্যবসায়ীদের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে হকাররা ব্যবসা করে। রাস্তায় যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি তারা বিবেচনায় রাখে। তবে হকারের কারণে যাতে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডা. শাহাদাত হোসেন বিএনপির দলীয় মেয়র হলেও তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর আওতাধীন প্রতিটি নাগরিকের মেয়র। তিনি কমিনিউটি পুলিশিংয়ে যারা কাজ করবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ঠিকানা যাচাই করতে দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।