চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার আসামি সুকান্ত দত্তকে বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার বিকেলে র্যাব–৭ এর সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) সহকারি পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফফর হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব বলছে, শুক্রবার বেলা ১টায় বান্দরবানের সদর থানার নীলাচল যৌথ খামার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুকান্তকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। সুকান্ত চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার পূর্ব বারখাইন গ্রামের প্রদীপ দত্তের ছেলে।
র্যাব–৭ ও র্যাব–১৫ এর যৌথ দল এই অভিযান পরিচালনা করা হয় বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, “সুকান্তের গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে এখন পর্যন্ত এই মামলায় ২২ জন আসামি গ্রেপ্তার হল। এখনো পলাতক ১৭ জন।” খবর বিডিনিউজের।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সমপ্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছিলেন আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। ওই মামলায় সব আসামি ছিল নগরীর রঙ্গম কনভেনশন হল সংলগ্ন বান্ডেল সেবক কলোনির বাসিন্দা। তদন্ত শেষে গত ১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী) মাহফুজুর রহমান মোট ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে প্রধান আসামি করা হয় চিন্ময় দাসকে। পরে ২৫ অগাস্ট চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৯ আসামির বিরুদ্ধে বাদির উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। এই ৩৯ জনের মধ্যে ১৭জন আসামি এখনো পলাতক।












