চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন বলেছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ও আইনের চর্চায় আইনজীবীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একটি আরেকটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। বার ও বেঞ্চের মধ্যে এ জন্য সুসম্পর্ক রাখা আবশ্যক। আইনজীবীদের উপস্থিতি ছাড়া বিচার কাজ সম্পাদন করা কোনাভাবেই সম্ভব না। বিচার বিভাগকে সমুন্নত করার কাজে আইনজীবীরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজকে যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তারা আমাদের অত্যন্ত আপনজন ছিলেন। তাঁদের পদচারণায় চট্টগ্রামের আদালত অঙ্গন একদিন মুখরিত ছিল। করোনাকালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ২৯ জন সদস্যের মৃত্যু উপলক্ষে আয়োজিত ফুল কোর্ট রেভারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাস কক্ষে চট্টগ্রামে কর্মরত সকল বিচারক ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে এ ফুল কোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান, ৭ টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিনসহ সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যরা। রেভারেন্সে সমিতির সভাপতি মো. এনামুল হক বলেন, সমিতির ২৯ জন সদস্যের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাঁদের শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে। স্বাগত বক্তব্য সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, যে ২৯ জন আইনজীবী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের সকল কর্মকাণ্ড আমাদের অনুসরণ করতে হবে। এদিকে ফুলকোর্ট রেভারেন্স শেষে সমিতির ৩ নম্বর মিলনায়তনে একটি শোক সভাও অনুষ্ঠিত হয়।