চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সুইজ্যারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নেথালি চুয়ার্ড কর্পোরেশনের টাইগারপাস অফিসের মেয়র দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত সাক্ষাত অনুষ্ঠানে মেয়র ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের মাঝে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। আলাপকালে মেয়র বলেন, প্রাচ্যের রাণী চট্টগ্রাম নগরীর ভূখণ্ড বৈচিত্র্যপূর্ণ। পাহাড়, নদী, সমুদ্র ও সমতলের মেলবন্ধনে অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই নগরীর রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এখানকার পর্যটন খাত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বিশেষভাবে আইটি খাতে সুইজারল্যান্ড সরকার বিনিয়োগ করতে পারে।] তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে যেকোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামীতে জোরালো ভূমিকা রাখবে। তিনি স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ এর ১৩ মার্চ বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ডের স্বীকৃতির কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, আমরা এখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী আমাদের এই উৎসবে আপনাদেরও পাশে পাব। মেয়র চট্টগ্রামের সিইপিজেডে চায়না, ব্রিটিশ ও নেদারল্যান্ডের এবং আনোয়ারার কেইপিজেডে কোরিয়ান বিনিয়োগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
বৈঠকে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নেথালি চুয়ার্ড নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করে এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন। তিনি মেয়রকে সুইজারল্যান্ড ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান। আলোচানায় রাষ্ট্রদূত নেথালি চুয়ার্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিনিয়োগের নতুন এভিনিউ খুঁজে বের করে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড’র বর্তমান বিনিয়োগ আরো বহুগুণে বৃদ্ধি করা যাবে মর্মে আশা প্রকাশ করেন। সাক্ষাতকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।