আইইউবি’র গবেষক দলের মাল্টি মিলিয়ন রিসার্চ গ্র্যান্ট অর্জন

| শনিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ২:৪৯ অপরাহ্ণ

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর একদল গবেষক সাম্প্রতিক সময়ে অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে। এই অর্জনের ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আইইউবি’র অধ্যাপক-ছাত্রছাত্রীদের গবেষণার সুযোগ তরান্বিত হয়েছে এবং আইইউবি গর্ববোধ করে।

গবেষকদের অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি আইইউবি’র জন্য অত্যন্ত সম্মানের উল্লেখ করে আইইউবি’র উপাচার্য তানভীর হাসান, পিএইচডি বলেন, “জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশ্বমানের গবেষণাকে আইইউবি সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করে থাকে। এই অর্জন আইইউবি’র অসামান্য গবেষণা পরিবেশের স্বীকৃতি দেয়।”

তাঁদের এই অর্জন বাংলাদেশে পরিচালিত মানসম্মত বৈজ্ঞানিক গবেষণার ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করেন তিনি।

আইইউবি-এর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডিন বিজ্ঞানী অধ্যাপক শাহ এম ফারুকের গবেষণায় অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা “ওয়েলকাম ট্রাস্ট” কলেরার মতো পানিবাহিত মহামারী নিয়ন্ত্রণে গবেষণা করতে ও জনসাধারণের মধ্যে পানিবাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে আগামী আড়াই বছরের জন্য প্রায় এক দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে একটি প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে অধ্যাপক ফারুক এই সিনিয়র ইনভেস্টিগেটর অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছেন। বাংলাদেশের একমাত্র বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি এই অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

আইইউবি’র ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের পরিচালক এর অধ্যাপক ড. সালিমুল হক নরহেড (নরওয়েজিয়ান প্রোগ্রাম ফর ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট ইন হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ) থেকে অত্যন্ত সম্মানিত কলোক্যাল গ্রান্ট পেয়েছেন। অধ্যাপক ড. সালিমুল হক ২০১৯ ও ২০২০ সালে জলবায়ু পরিবর্তন নীতি প্রনয়ণে ভূমিকার জন্য শীর্ষ বিশ প্রভাবশালীদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী জলবায়ু বিজ্ঞানীদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি বিজ্ঞানী হিসেবে রয়টার্সের হটলিস্টে ২০৮ তম স্থান অর্জন করেছেন। আইইউবি’র এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান ড. খন্দকার আয়াজ রাব্বানি এই প্রকল্পের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ছয় বছরের (২০২১-২০১৬) এ প্রকল্পের মধ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে মেকেরের ইউনিভার্সিটি (উগান্ডা), এডুয়ার্ডো মন্ডলেন ইউনিভার্সিটি (মোজাম্বিক), পোখারা ইউনিভার্সিটি (নেপাল), স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ও নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস (নরওয়েজিয়ান ইন্সটিটিউশন)। গবেষণাটি স্বল্পোন্নত দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের স্থানীয় অভিযোজন নিয়ে সম্প্রতি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ) প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কাজ করছে। এই প্রকল্পের মোট তহবিল ২০ লাখ ডলার। দুটি গ্রান্টই আইইউবি’র জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মান বৃদ্ধি করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইনজীবীরা মঙ্গল গ্রহ থেকে আসে নাই : কোর্ট হিল পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
পরবর্তী নিবন্ধচবির ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা