নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিশ্রুতি নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের কাতারের নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আংশিক আহ্বায়ক কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। শুরুতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করেন জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ইসমাইল হোসেন রাব্বীর বোন মীম আক্তার। এরপর আংশিক আহ্বায়ক কমিটির পুরোটা ঘোষণা করেন সদস্য সচিব আখতার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ এক নতুনের সুযোগ পেয়েছে। এই নতুনের দায়িত্ব যারা বহন করতে ইচ্ছুক, যারা বাংলাদেশেক নতুন কিছু উপহার দিতে চায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম– সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ, সেই স্বপ্নকে যারা বাস্তবায়ন করতে চায়, এই বাংলাদেশে একটি স্বনির্ভর পররাষ্ট্রনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়, এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চায়, জনস্বার্থের পলিসি নির্মাণ করতে চায়, এমন উদ্যমী নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আংশিক অর্গানোগ্রাম।
আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব পদে আখতার হোসেনকে রেখে দলের কমিটির শীর্ষ পদে আছেন ১০ জন। তারা হলেন– আহ্বায়ক : নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক : সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক : আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্য সচিব : আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব : তাসনিম জারা ও চট্টগ্রামের তরুণী নাহিদা সারোয়ার নিভা, মুখ্য সংগঠক : হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল), মুখ্য সংগঠক : সারজিস আলম (উত্তরাঞ্চল), মুখ্য সমন্বয়ক : নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক : আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এরপর ঘোষণা করা হয় ১৬ জন যুগ্ম আহ্বায়কের নাম। তারা হলেন– নুসরাত তাবাসসুম, মুনিরা শারমীন, মাহবুব আলম, সারওয়ার তুষার, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, তাসনুভা জাবিন, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দিন, অর্পিতা সাহা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন, এহতেশাম হক ও হাসান আলী।
যুগ্ম সদস্য সচিব পদে যাদের নাম অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বলা হয়েছে, তারা হলেন– আব্দুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, রশিদুল ইসলাম রিফাত, মাহিন সরকার, মো. নিজাম উদ্দিন, আকরাম হুসাইন, এসএম সাইফ মুস্তাফিজ, সালেহ উদ্দিন সিফাত (দপ্তরে সংযুক্ত), আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, ফরিদ উদ্দিন, মো. ফরহাদ আলম ভুঁইয়া, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, লুৎফর রহমান, মো. মইনুল, ইসলাম তুহিন, মুশফিকুস সালেহীন, ড. জাহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম মুসা, হুমায়ুরা নূর, মুশফিকুর রহমান জোভান, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, আহনাফ সাঈদ খান, আবু সাঈদ মো. সুজাউদ্দিন, মীর আরশাদুল হক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, তারেক রেজা, মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, মুনতাসির রহমান, গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর, তামিম আহমেদ ও তাহসিন রিয়াজ। তারপর ঘোষণা করা হয় দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া ১২ যুগ্ম মুখ্য সংগঠকের নাম। দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠকরা হলেন– মো. আতাউল্লাহ, ডা. মাহমুদা মিতু, মোল্লা রহমতউল্লাহ, এসএম শাহরিয়ার ও জোবায়ের আরিফ। আর উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠকরা হলেন– সাইফুল্লাহ হায়দার, আলী নাসের খান, সাকিব মাহাদী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাদিয়া ফারজানা দিনা, অলিক মৃ ও হানিফ খান সজীব।
আখতার হোসেন সবশেষ এনসিপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটির ১৪ জন যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারীর নাম ঘোষণা করেন। তারা হলেন–তারিকুল ইসলাম (যুব উইং), ডা. আবদুল আহাদ, দিলশানা পারুল, আবু হানিফ, আবদুস জাহির, মাজহারুল ইসলাম ফকির, গোলাম মুর্তুজা সেলিম, আশেকীন আলম, ডা. জাহিদুল বারী, কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, ডিম্পালী ডেভিড রাজু, শাহ মঈনুদ্দিন, মারজুক আহমেদ ও সাদ্দাম হোসেন।