আঁই নতুন পঅল নঅ, আঁই পুরান পঅল : এমপি মুজিব

বাঁশখালী নিয়ে আমি ব্যবসা করব না

বাঁশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ৩০ জুন, ২০২৪ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান বলেছেন, আঁই নতুন পঅল নঅ, আঁই পুরান পঅল। (আমি নতুন পাগল নই, আমি পুরনো পাগল।) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বাঁশখালী আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় নিজের অবস্থান বোঝাতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে স্বতন্ত প্রার্থী হয়েছিলাম। আমাকে ভোটে নির্বাচিত করেছেন। তাই আমি সকলের জনপ্রতিনিধি। বাঁশখালী আওয়ামী লীগ যদি একত্রিত হয়ে আমাকে আহ্বান করে তাহলে আসব। আমি কোনো গ্রুপিং রাজনীতিতে জড়াব না। আনোয়ারায় যে টানেল হয়েছে সে সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়ে বাঁশখালীকক্সবাজারের দূরত্ব কমবে ৩৫৪০কিলোমিটার। আমি তা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। আশা রাখি ৩৪ মাসের মধ্যে প্রধান সড়ক সম্প্রসারণের ঘোষণা আসবে। জলকদর খাল সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছি। এসব কাজ করতে গিয়ে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কোনো প্রতিক্রিয়াকে আমি ভয় পাই না।

এমপি মুজিবুর রহমান বলেন, বাঁশখালী নিয়ে আমি ব্যবসা করব না। আসুন পিছিয়ে পড়া বাঁশখালীর উন্নয়নের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করি। নির্বাচনের আগেও অনেকে হুংকার দিয়ে ভয়ে ব্রিজের নিচে রাত যাপন করেছেন। কেউ দুর্নীতি করলে প্রতিহত করতে হবে। দুর্নীতির উৎপাত কমে যাবে। বাঁশখালীতে নির্বাচন পরবর্তী কোনো সংঘাত হয়নি। একজন লিখল, আগামী ৩ তারিখের পর নাকি আবার নির্বাচন হবে। আবার নির্বাচন হলে আলহামদুলিল্লাহ। এ সময় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, আঁই নতুন পঅল নঅ, আঁই পুরান পল। দুর্নীতি বন্ধ করতে আমি জীবন দেব। আমার কোনো দোষ থাকলে বলবেন; সংশোধন করার চেষ্টা করব।

বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বিক্রি করে খাওয়ার দিন শেষ। যারা বলেন বাড়ি করেননি, দলীয় অফিস করেছি। কার কাছ কথা টাকা নিয়েছেন সব হিসাব আছে আমার কাছে। অনেকে নানাভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবু সৈয়দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার (অর্থ) আবদুর রাজ্জাক, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিমুল হক চৌধুরী, ডা. ফররুখ আহমদ ফারুক, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ নেতা আতাউল করিম আতিক, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাদাত ফারুক, শীলকূপ ইউপি চেয়ারম্যান কায়েস সরোওয়ার সুমন, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস, কাথরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে আমিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিদের মধ্যে মাস্টার শামসুল আলম সিদ্দিকী, আমান উল্লাহ চৌধুরী, ভূপাল বড়ুয়া, আবুল হোসেন ভুট্টু, আকবর হোসেন তালুকদার, আলমগীর কবির, সার্জেন্ট (অব.) জাফরুল ইসলাম, সেলিম আকতার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে বেদার উদ্দিন তালুকদার, নুর হোছেন তালুকদার, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আকতার, সেলিম উল্লাহ, জামাল উদ্দিন, আবেদুল ইসলাম লিটন, মো. আলমগীর, মুজিবুর রহমান, তপন দাশগুপ্ত, নীলকন্ঠ দাশ, ইউসুফ চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, জসীম উদ্দিন খোকন, হামিদ উল্লাহ, মাহমুদুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর আরিফ মঈনুদ্দিন, অ্যাডভোকেট আলমগীর কবির, আব্দুল অদুদ লেদু, নাছির উদ্দিন, আনসুর আলী, মোহাম্মদ ফারুক, মো. সিরাজ, প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, দিলীপ চক্রবর্তী, নার্গিস আক্তার, রায়হানুল হক, আব্দুল ওয়াজেদ, মোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম ও আনোয়ারুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার পর র‌্যালি বের হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারি বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা দিল প্রয়াস
পরবর্তী নিবন্ধআ.লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে