সমুদ্রপৃষ্ঠ অন্তত ৬শ ফুট উচ্চতায় খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা। সেখানেই নবনির্মিত অ্যাম্পিথিয়েটারে প্রথমবারের মতো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা। আর এ পরিবেশনা উপভোগ করেছেন আগত শত শত পর্যটক। গতকাল শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। বিকেল ৪ টায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের শিল্পীরা চাকমা গীতিনাট্য ‘রাধামন ধনপুদি’ পরিবেশন করেন। এমন আয়োজন খাগড়াছড়ির পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জানান আয়োজকরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘প্রাচীন গ্রিসে অ্যাম্পিথিয়েটারে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার জন্য ব্যবহার করা হতেকা। পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে অ্যাম্পিথিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। জেলার প্রধান পর্যটক কেন্দ্র আলুটিলায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা শুক্র ও শনিবার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে
দিয়ে পাহাড় ও সমতলের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতির বন্ধন আরো জোরদার হবে।’
জেলা প্রশাসক আরো বলেন,‘এক হাজার আসনের গ্রিক স্থাপত্য আদলে তৈরি এটিই দেশের প্রথম অ্যাম্পিথিয়েটার। এখানকার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে পর্যটন স্পটে অ্যাম্পিথিয়েটারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চায়নের প্রথম উদ্যোগ। নিঃসন্দেহে এ অঞ্চলের তথা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে এটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করতে আসা পর্যটক মো. জোবায়ের, ফয়সাল জানান, ‘এখানে আমরা মূলত বেড়াতে এসেছি। অ্যাম্পিথিয়েটারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে উপভোগ করলাম। এর মধ্যে দিয়ে আমরা পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা উপভোগ করতে পেরেছি। এতো কালারফুল একটা প্রোগ্রাম দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
শুক্রবার অন্তত ৫ শতাধিক পর্যটক অ্যাম্পিথিয়েটারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।
খাগড়াছড়ির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা জানান, ‘চাকমা লোককাহিনীকে উপজীব্য করে রাধামন ধনপুদি নির্মাণ করা হয়েছে। অ্যাম্পিথিয়েটারে প্রতি শুক্র ও শনিবার এটি পরিবেশিত হবে। আশা করি পর্যটকরা এটি দেখে পাহাড়ের সংস্কৃতি সর্ম্পকে কিছুটা হলেও ধারণা পাবেন।’
অ্যাম্পিথিয়েটারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকায় শুক্র ও শনিবার আলুটিলায় প্রবেশমূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়।