অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারে গত বছরের জুলাই থেকে ১৩৩ জন রোগীর হার্টের শতভাগ সফল বাইপাস সার্জারি হয়েছে। সার্জারি পরবর্তী প্রত্যেকটি রোগী সুস্থ হয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। এমন কৃতিত্ব চট্টগ্রাম তো বটে সারাদেশের অন্যকোনো হাসপাতালে রয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে। গতকাল বিকেলে নগরীর জাকির হোসেন রোডে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি সেন্টারে আয়োজিত ১২৫ এর বেশি বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক। তিনি বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এই হাসপাতাল করেছিলাম, আমরা ধীরে ধীরে সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারে রোগীরা আমাদের ওপর যে আস্থা নিয়ে এসেছে, আমরা এখন তাদের সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেছি। কারণ আমাদের সেন্টারে বাইপাস সার্জারিতে সফলতার হার শতভাগ। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, চট্টগ্রামের মানুষ যেন ঘরের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের সেবা পায়। আর যেন ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে দৌড়াদৌড়ি করতে না হয়। কার্ডিয়াক সেন্টার ছাড়াও আমাদের প্রত্যেকটি বিভাগ সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে চট্টগ্রামবাসীও উপকৃত হবে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে শুধু চট্টগ্রাম নয়, আমরা চাই দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও রোগীরা আমাদের হাসপাতালে এসে সেবা গ্রহণ করুক।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সিইও ড. আনান্থ এন রাও, ডেপুটি চিফ অব মেডিকেল সার্ভিসেস ডা. ফজল–ই–আকবর, কাডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ রউফ, চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. মো. জিয়াউর রহমান, এনেস্থেসিয়া বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মাসুদ আহমেদ, কার্ডিয়াক এনেস্থেসিয়া বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. সুমন সিকদার, চিফ মার্কেটিং অফিসার অমিতাভ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
অনুষ্ঠানে ইতোপূর্বে বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন করা বেশ কয়েকজন রোগীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারে বাইপাস সার্জারি করা আকবর আলী ও মোহাম্মদ আলী সুরুজ তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দেশে অনেক হাসপতাল রয়েছে। কিন্তু অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মকর্তরা যে আন্তরিকতা সাথে রোগীদের যত্ন নেন অনন্য। এই হাসপাতালে সেবার মান খুবই উন্নত।