অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম : নারী সমাজের প্রেরণার উৎস

এ.এম জিয়া হাবীব আহসান | বৃহস্পতিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ


প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী , সাবেক স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ও বর্তমানে এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর (সরকারি আইন কর্মকর্তা), বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলামিস্ট, শ্রদ্ধাভাজন এডভোকেট কামরুন নাহারের সুনাম আইন আদালত ও মানবাধিকার অঙ্গনে সর্বজনবিদিত। তাঁকে আমি খালাম্মা বলে সম্বোধন করি। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও মনের অনেক শক্তি খালাম্মার। তাঁর সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করি। মেজো সন্তানের বন্ধু তথা পুত্রতুল্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে আপনি বলে সম্বোধন তাঁর বিনয়ী স্বভাবকে উচ্চকিত করে। একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর (ড. হাছান মাহমুদ) মা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মাঝে কোন অহংকার দেখিনি। যশ-খ্যাতি, সম্মান, অর্থবিত্ত-সবই আছে তাঁর। ৮ সন্তানের সবাই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ঋদ্ধ, প্রতিষ্ঠিত। স্বমহিমায় উজ্জ্বল। বড় ছেলে বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী। উচ্চশিক্ষিত মেজো ছেলে বিশাল মৎস্যখামারি, স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। তৃতীয় ছেলে শিপিং ব্যবসায়ী। ৪র্থ ছেলে বেলজিয়ামে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর সেখানেই বসতি। কনিষ্ঠ ছেলে আন্তর্জাতিক পর্যটন ব্যবসায়ী। তিন কন্যার একজন চিকিৎসক, মেজ মেয়ে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে এখন অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত এবং ছোট মেয়ে এলএল.এম করে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বার-এটল তে অধ্যয়নরত। রত্নাগর্ভা বলতে যা বোঝায়, সত্যিকার অর্থে তিনি তাই-ই। উল্ল্লেখ্য তিনি ১৯৭০ সালে গভ: ইন্টারমেডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি চ.বি ১৯৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে বি এস এ এবং ১৯৮০ সালে বিএড কলেজ থেকে ১ম শ্রেণিতে বিএড ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এলএল.বি ডিগ্রী লাভ করেন। পেশাগত জীবনের শুরুতে তিনি পদুয়া ডিগ্রী কলেজে বেশ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৮ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। ঘরে বসে আয়েশি কিংবা ঘুরে বেড়িয়ে বিলাসী জীবন-যাপনের অবারিত দ্বার তাঁর সামনে। কিন্তু বৈষয়িক, জাগতিক এসব প্রাপ্তি, ভালো থাকা তাঁর খুব বেশি পছন্দ নয়। গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদেরকে আইনী সহায়তাপ্রদান কিংবা মানবতা লঙ্ঘনের জায়গায় প্রতিবাদী ঝাণ্ডা হাতে লড়াই করার রক্ত যার শরীরে, দীক্ষা-শিক্ষা যে জীবনে; সে জীবনের কাছে লাভ-অলাভ, বিলাসব্যসন সবই তুচ্ছ, নস্যি। খালাম্মা বলেন, আমি প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি খুঁজে ফিরি আর্তপীড়িতের সেবায়, নারীর ক্ষমতায়নে। ২০০৯ সালে তিনি বিভাগীয় স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর দায়িত্ব পান। পরে জজ কোর্টের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও নিয়োগ পান। পটিয়া থানাধীন খানমোহন গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবার নাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক, মায়ের নাম রাবেয়া খানম। তিনি রাঙ্গুনিয়ার কৃতিসন্তান খ্যাতিমান আইনজীবী, ও আইন অঙ্গনের পুরোধা পুরুষ, ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও দু’বারের জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর মরহুম আলহাজ্ব নুরুচ্ছফা তালুকদার স্যারের সহধর্মিণী। স্বামীর স্মৃতিচারণ করে কামরুন নাহার বেগম বলেন, ৮০ বছর বয়সে তিনি মারা যান, মৃত্যুর আগমুহূর্তেও আদালতে গিয়েছিলেন। নামকরা আইনজীবী ছিলেন। বিপদে-আপদে সবাই এসে ধরতেন ওনাকে, আদালতে না গিয়ে পারতেনই না। তিনি ভালো আইনজীবী ছিলেন। আইনি সহায়তা পেতে ওনার চেম্বারে অনেক নারীও আসতেন। তাদের অবর্ণনীয় কষ্ট দেখে খালাম্মা ভাবতেন, আইনজীবী হলে তিনিও নিপীড়িত মেয়েদের পাশে দাঁড়াতেন। গরীব মানুষকে সাহায্য করতেন। পরে আইনজীবী হয়ে এখন তা করছেন। স্বামীর উৎসাহে আইন পেশায় আসেন তিনি। তাঁর হেমসেন লেইনের বাসায় প্রায় যাওয়া আসা হতো আমার। যথেষ্ট স্নেহ করেন আমাকে। অনেক জটিল বিরোধ মীমাংসায় তিনি আমাদের সহায়তা দিয়ে আসছেন। প্যারালাইসিসের মতো রোগও খালাম্মাকে কাবু করতে পারেনি। ১৭ বৎসর আগেই হারিয়েছেন চলৎশক্তি। হাঁটেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। কথা বলতে গেলে জড়িয়ে যায়। কিন্তু এসব কিছুই এক মুহূর্তের জন্য তাঁকে দমাতে পারেনি। ঝড়-তুফান, বৃষ্টিবাদল যাই আসুক- প্রতিদিন তিনি নির্দিষ্ট সময়ে ছুটে যান আদালতে। নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের সুখ-দুঃখের গল্প শোনেন চেম্বারে বসে। জুনিয়রদের ইন্সট্রাকশন দিয়ে সাধ্যমত সমস্যাসঙ্কুল মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কখনো কখনো বিচারকের কক্ষে নিজেই ছোটেন গাউন পরে। ‘তাঁর রচিত “নারী, মানবাধিকার ও বর্তমান সমাজ প্রেক্ষাপট”, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ এবং “আমার দেখা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ এবং এশিয়া ও ইউরোপের ১৩ টি দেশ ” বই ৩টি পড়লেই তাঁর জ্ঞানের গভীরতা অনুভব করা যায়। মানবাধিকার কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদানের জন্যে তিনি একাধিক পদক এবং সম্মাননাও লাভ করেন। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন কামরুন নাহার বেগম বলেন, ‘আইনপেশায় টাকা আয় করা আমার কাছে মুখ্য বিষয় নয়। নির্যাতিত নারীরা যাতে সুখ পায়, সেজন্য আমি নিজের উদ্যোগে আইনপেশায় এসেছি, এখনো আদালতেই আমার সময় কাটে। আদালত সাময়িক জিম্মায় রাখতে দিলে আমি নির্যাতিত নারীদেরকে বাসায় এনে রাখি। নির্যাতিত মেয়েরা যাতে আইনী সহায়তা পায় সেজন্য আমি মানবাধিকার সংগঠনের সাথেও যুক্ত হয়েছি।’ একাত্তরের দিনগুলোতে অন্ধকারে নিপতিত হয়েছিলেন খালাম্মা ও তাঁর পরিবার। হানাদারদের আক্রমণের কারণে সুন্দর স্বাভাবিক জীবন তো হারিয়েই গিয়েছিল। তবে দেশ স্বাধীনের পর নতুন জীবনের সন্ধান পেয়েছেন তিনি। খালাম্মার ছোট ভাইও মুক্তিযোদ্ধা ছিল। তাদের বাড়ির অদূরে খুরুশিয়া পাহাড়ে মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিতো। যুদ্ধের প্রথমদিকে সুখবিলাস স্কুলে লঙ্গরখানা খুলেছিল। সেখানে বড় বড় ডেকচি দিয়ে রান্না করতে হতো। কোনো কোনো সময় ৫০ জনের জন্যও রান্না করতেন।’ মুক্তিযুদ্ধের আগুনঝরা দিনগুলোর সাক্ষী কামরুন নাহার বেগম বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনারা বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার পর পালিয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। হাছান (বর্তমান তথ্যমন্ত্রী) ও এরশাদকে (মেজো ছেলে) নিয়ে পাহাড়ে থাকতে হয়েছিল খালাম্মাদের। তার স্বামী তখন কোনদিকে থাকতো জানতেন না। তিনি একাত্তরে যুদ্ধ করেছেন অস্ত্র হাতে। বন্দুক নিয়ে তিনি তাদেরকে পাহাড়ে দেখতে যেতেন। হাছান, এরশাদ তার সাথে ছিল।’ ‘যেদিন পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেদিনই খালাম্মার মেয়ের জন্ম হয়, সে এখন ডাক্তার। তেমন কাপড় ছিল না, কাঁথা ছিল না। আর্থিকভাবে গরীব মানুষ যেমন, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা। থামি কাপড় খুঁজে পরতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে তারা দিন পার করেছিলেন।’ তিনি রাংগুনিয়ায় সুখবিলাস গ্রামে স্বামীর বাড়ীর সামনে ১ কানি জমি মসজিদে দান করেন এবং নিকটস্থ বাঙ্গাল খালিয়ায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুই গন্ডার উপর একটি মসজিদ নির্মাণ করেন । দৃঢ় মনোবল, অধ্যাবসায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে একজন নারী যে সকল বাধা অতিক্রম করতে পারে তিনি তাঁর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম। রাউজানে পুলিশ হেফাজতে সীমা চৌধুরী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আইনজীবী হিসেবে অপরাধ প্রমাণে ভূমিকা রাখেন।
তাঁর সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনে তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, নারী উন্নয়ন ও মানবাধিকারমূলক কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান। তিনি নারী অধিকার এবং সমাজে নারীদের মর্যাদা সম্পর্কে স্থানীয় পত্রপত্রিকায় লিখে থাকেন এবং বিভিন্ন সময়ে টিভি-রেডিওতে নারী নির্যাতন এবং নারীদের অধিকার ও নারীসুরক্ষা সম্পর্কে আইনগত বক্তব্য রেখেছেন। তিনি হিউম্যান রাইটস কমিশন চট্টগ্রাম ডিভিশনের প্রাক্তন ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, চট্টগ্রাম রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা ইসলামী পাঠাগারের সদস্য, লেডিস ক্লাবের সদস্য, চট্টগ্রাম রোজ গার্ডেনের পি.পি। তিনি ছাত্রী অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য, দক্ষিণ জেলা চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জাতীয় পেশাজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। এ ছাড়াও প্রফেসর এ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম একজন সফল মানবাধিকার কর্মী হিসেবে ২০০০ সালে মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় সম্মেলনে ‘ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস’ পদকে ভূষিত হন। দুস্থ নারী ও মহিলাদের সহায়তা দানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্‌্েরর বায়োলজিকেল ইন্সটিটিউট ২০০৩ সালে তাঁকে ‘ওম্যান অব দ্যা ইয়ার’ মনোনীত করে। প্রফেসর এ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে এশিয়া এবং ইউরোপ মহাদেশের ১৩টি দেশ, পরিভ্রমণ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেন। পরিভ্রমণকালে তিনি সে সমস্ত দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নানান বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। পরে তাঁর এই অভিজ্ঞতা নিজ দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, মানবাধিকার, নারী উন্নয়ন ও নানা বিষয়ে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন।
যে সমস্ত দেশ তিনি ভ্রমণ করেছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, লুঙেনবার্গ, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া। পরবর্তীতে প্রফেসর এ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম সে দেশসমূহের রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সামাজিক অবস্থা সর্বোপরি সে দেশসমূহের আইন এবং বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান আহরণ এবং উল্ল্লিখিত দেশসমূহের ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং দর্শনীয় স্থানসমূহ স্বচক্ষে অবলোকন করে বাস্তব জ্ঞান আহরণ ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নিজ দেশের পাঠক সমাজের কাছে উল্ল্লিখিত দেশসমূহের সঠিক অবস্থা সম্পর্কে ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি’, ‘আমার দেখা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ এবং এশিয়া ও ইউরোপের ১৩টি দেশ’ নামে গ্রন্থ লিখে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সত্যকার অর্থে তিনি একজন জীবন সংগ্রামী নারী এবং এদেশের নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি ।
লেখক : আইনজীবী, সুশাসন ও মানবাধিকার কর্মী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমার শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য
পরবর্তী নিবন্ধমানবাধিকার ও শ্রমিকের অধিকার