অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ইন্তেকাল

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

| সোমবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাস সংক্রমণমুক্ত হলেও সুস্থ হয়ে আর ফিরতে পারলেন না অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে। মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব বলেছেন, সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন মাহবুবে আলম। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। খবর বিডিনিউজের।

গত ৪ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন মাহবুবে আলম। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আইসিইউতে নেওয়া হয়। তবে সর্বশেষ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মাহবুবে আলম ২০০৯ সালে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে নিয়োগ পান। তারপর মৃত্যু অবধি ওই পদে ছিলেন। পদাধিকার বলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, মাহবুবে আলম বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পরিচালনায় অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন একজন প্রথম সারির যোদ্ধা। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইনি বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রেখেছেন এবং সবসময় ন্যায়নিষ্ঠ থেকে আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন, যা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। এদিকে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

মাহবুবে আলম এক মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং এক মেয়াদে সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং ১৯৬৯ সালে লোক প্রশাসনে ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেন তিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন মাহবুবে আলম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রেনে যাত্রীদের আতঙ্ক ‘পাথর নিক্ষেপ’
পরবর্তী নিবন্ধকখনো ম্যাজিস্ট্রেট কখনো ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা পারভীন