অস্ত্র হাতে মহড়া ফাঁকা গুলি

লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে একটি দল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অন্যের জায়গা দখল করে রাস্তা করতে গিয়েছিলেন। এ সময় ফাঁকা গুলি বর্ষণ, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল বুধবার দুপুরে লোহাগাড়া মা মণি হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়াকূল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বোয়ালিয়াকূল এলাকায় আসে। এসময় তাদের হাতে অস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও লাঠি ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতেও অস্ত্র দেখা যায়। তারা স্থানীয় মাহামুদুল হকের পুত্র প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের জায়গা দখল করে রাস্তা করার চেষ্টা করেন। তখন সিরাজুলের পক্ষের লোকজন বাবুলের লোকজনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এরপর বাবুলের পক্ষের লোকজন বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে চলে যাওয়ার পর লোহাগাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বোয়ালিয়াকূল এলাকায় বাবুলের বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। এসব জায়গা সম্প্রতি বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাদের জায়গায় যাওয়ার পথ নেই। তাই সিরাজুলের কাছ থেকে যাতায়াতের রাস্তা করার জন্য জায়গা কেনার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তারা জায়গা বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় বিরোধ সৃষ্টি হয়।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তার জন্য জায়গা কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বিক্রি করিনি। এজন্য তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে আসছিলেন। অবশেষে গতকাল সশস্ত্র লোকজন নিয়ে দখল করার চেষ্টা চালান।
উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল বলেন, আমার জায়গাটি এস আলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করেছি। ওই জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সিরাজের পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর আক্রমণ করে। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ধাওয়া করে। অস্ত্র প্রসঙ্গে বলেন, এটি আমার লাইসেন্স করা অস্ত্র। নিরাপত্তার স্বার্থে সাথে রাখি। আমার সাথে থাকা কারো হাতে অবৈধ অস্ত্র ছিল না।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান যেখানে কাজ করতে গেছেন সেটি তার দখলীয় জায়গা। আর উনার সাথে যে অস্ত্র ছিল সেটি লাইসেন্স করা। অবৈধ কোনো অস্ত্র ছিল কিনা খতিয়ে দেখব। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক নেতাদের সাথে বৈঠক আজ, আসতে পারে সিদ্ধান্ত
পরবর্তী নিবন্ধসেই আইনজীবীকে শোকজ সমিতির, ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ