টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে কঙবাজার সদরের পিএমখালীতে অস্ত্র বেচতে এসে মো. আলম (৩৪) নামের এক রোহিঙ্গা র্যাবের হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরি একটি এলজি ও একটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
আটক মো. আলম টেকনাফের ২৬ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক এইচের বাসিন্দা ওমর হাকিমের ছেলে। তারা ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে র্যাব–১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান এক প্রেসবিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে র্যাবের একটি দল কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএম খালী ইউনিয়নের তোতকখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। র্যাব জানায়, আটক রোহিঙ্গা যুবক দেশিবিদেশি অস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত। তার বিরুদ্ধে সমপ্রতি টেকনাফের পাহাড়ে সক্রিয় অপহরণকারী চক্রের কাছে অস্ত্রের যোগান দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
র্যাব–১৫ কঙবাজার কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, শুক্রবার বিকেলে র্যাবের একটি দল অস্ত্র বেচাকেনার খবর পেয়ে কঙবাজার সদরের পিএমখালীতে অভিযান যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টাকালে রোহিঙ্গা মো. আলমকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. আলম একজন পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করেছে। সে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে টেকনাফের হ্নীলা এলাকা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অপহরণকারীদের চাহিদা অনুযায়ী অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, সমপ্রতি উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ব্যবহৃত জি–৩ রাইফেলসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।