আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. শহীদুল ইসলামের আদালতে দিন ধার্য থাকলেও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ সাক্ষী আদালত কক্ষে হাজির থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় তাদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) সুজিত কুমার দে।
আজাদীকে তিনি বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের এ মামলায় ইতিমধ্যে বাদীসহ কয়েকজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রোববার (গতকাল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তৎকালীন বাকলিয়া থানার এসআই মহিম উদ্দিন, তৎকালীন বন্দর থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন ও তৎকালীন সিটিএসবির ইমিগ্রেশন শাখার পরিদর্শক মো. নেজাম উদ্দিন সাক্ষ্য দিতে আদালত কক্ষে হাজির ছিলেন। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় তাঁরা ফেরত গেছেন। আগামী মাসে এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মিতু খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে ২০১৬ সালের ২৭ জুন রাতে বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকা থেকে ভোলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকা থেকে রিকশাচালক মনির হোসেনকে পরদিন ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়। মনিরের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ছয়টি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভোলা ও মনিরকে আসামি করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক মামলাটি করেন। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা তাদের দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলে বিচারক চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলাটির এজহারে বলা হয়, ওয়াসিম ও মুছা নামের দুই ব্যক্তি মিতু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি এহতেশামুল হক ভোলার কাছ কাছ থেকে সংগ্রহ করেন এবং ঘটনার পর সে গুলি তার কাছে ফেরত দেওয়া হয়। পরে উক্ত অস্ত্র-গুলি রিকশা চালক মনিরের কাছে রাখেন ভোলা। আদালত সূত্র আরো জানায়, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের করা হত্যা মামলারও আসামি ভোলা।