চন্দনাইশে আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিদেশি অস্ত্রসহ এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজনকে (৪১) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে রোববার ভোর ৫ টায় নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী আকা মাঈনউদ্দিন সাঞ্জুকে (৩৯) গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় সাঞ্জুর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার ও ১৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া সুজন চন্দনাইশ থানাধীন হাশিমপুর গ্রামের আবদুল মোনাফের ছেলে। অন্যদিকে সাঞ্জু শরীয়তপুর জেলার দামুডা গ্রামের মৃত আকা খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোডের ভাড়া বাসায় বসবাস করে বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাব-৭ এ সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার জানান, চন্দনাইশে একটি অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এক নম্বর আসামি গিয়াস উদ্দিন সুজনকে আমরা ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে মতিঝর্ণা এলাকা থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সাঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের পুরোনো মামলা বাদেও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় খুলশী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য সমপ্রতি চন্দনাইশে জাতীয় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে হামলা-গোলাগুলির পর ওই নেতার প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণের ভিডিওদৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর পর র্যাব অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।