ডাক্তারি পরীক্ষার নামে যৌন উদ্দেশ্য নিয়ে নারী রোগীদের দেহের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করা এবং রোগীদের যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ায় এক বাংলাদেশী ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মেলবোর্নের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর জেলংয়ের বাসিন্দা শফিউল মিল্কি (৫৬) বেলারিন পেনিনসুলা মেডিকেল প্র্যাকটিসে কাজ করতেন। বিডিনিউজ
তার বিরুদ্ধে জেলংয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৫ দফা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ডাক্তারি পরীক্ষার নামে যৌন উদ্দেশ্য নিয়ে নারী রোগীদের দেহের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করা এবং ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে ঐ ১৫ দফার মধ্যে।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি ঐসব ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।
এবিসি নিউজ লিখেছে, জেলংয়ের যৌন নিপীড়ন ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ তদন্ত দল চলতি মাসের শুরুতে ডা. মিল্কির বিরুদ্ধে আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনে। আগামী বছরের মার্চে তাকে এ মামলায় আদালতে হাজির হতে হবে।
রোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ আসায় গত বছরই চিকিৎসক হিসেবে মিল্কির নিবন্ধন স্থগিত করেছিল মেডিকেল বোর্ড অভ অস্ট্রেলিয়া।
তবে ভিক্টোরিয়ান সিভিল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ভিসিএটি) দুই মাস পর শর্তসাপেক্ষে তাকে আবার চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত থাকার অনুমতি দেয়।
শর্তগুলো হলো তিনি সাউথ-ওয়েস্ট ভিক্টোরিয়ার কোলাক মেডিকেল সেন্টার, কোলাক সেন্ট্রাল মেডিকেল সেন্টার বা মাউন্ট ক্লিয়ার মেডিকেল সেন্টারে কাজ করতে পারবেন না। কোনো নারী রোগীকে তিনি চিকিৎসা দিতে পারবেন না।
মিল্কিকে শর্তসাপেক্ষে কাজ করার ঐ অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য মেডিকেল বোর্ড অভ অস্ট্রেলিয়া আপিল করবে বলে দেশটির হেলথ প্র্যাকটিশনার রেগুলেশন এজেন্সির বরাতে জানিয়েছে এবিসি নিউজ।
জেলংয়ের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জেলং ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, বাংলাদেশের একটি মেডিকল কলেজ থেকে ডিগ্রি নেওয়া মিল্কি ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল কাউন্সিলের সনদ পান।
এরপর থেকে তিনি পেনিনসুলা ফ্যামিলি মেডিকেল প্র্যাকটিসে জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।