অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি তরুণীকে হত্যা

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্বামী গ্রেপ্তার

| শুক্রবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্বামী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মাথায় গত রোববার সিডনির নর্থ প্যারামাট্টার পেনান্ট হিলস রোডের বাড়ি থেকে ১৯ বছর বয়সী মেডিসিনের শিক্ষার্থী আরনিমা হায়াতের লাশ উদ্ধার করা হয়। হাইড্রোক্লোরিক এসিড ভর্তি একটি বাথটাব থেকে আরনিমার মৃতদেহ উদ্ধারের পর তার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্বামী মিরাজ জাফরকে (২০) গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। সোমবার ব্যাংকসটাউন পুলিশ স্টেশনে জাফর আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মঙ্গলবার জাফরকে ব্যাংকসটাউনের স্থানীয় আদালতে তোলা হলে তিনি জামিন আবেদন করেননি। পরে তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। আগামী ৫ এপ্রিল অডিও ভিজুয়াল মাধ্যমে তাকে প্যারামাট্টার স্থানীয় আদালতে হাজির হতে হবে।
টেম্প হাই স্কুলে এইচএসসিতে ৯৭ এর বেশি স্কোর করে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন সিডনিতে পড়তে যান আরনিমা। বাবা-মাকে তিনি সার্জন হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তার বাবা আবু হায়াত অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মায়ের সঙ্গে শৈশবে সেখানে যান আরনিমা। অস্ট্রেলিয়ায় হায়াত দম্পতির দ্বিতীয় একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, জাফরকে বিয়ে করার পরিকল্পনা জানালে আরনিমার বাবা পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তখন তাকে বলা হয়, ‘কিছু করার নেই, কারণ তারা পরস্পরকে ভালবাসে।’ জাফরের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে গেল অক্টোবরে পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন আরনিমা। তখন থেকেই তিনি নর্থ প্যারাম্যাট্টার অ্যাপার্টমেন্টে জাফরের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। ছয় মাস আগে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার আগে অধ্যবসায়ী এবং প্রাণবন্ত ‘অজি তরুণী’ আরনিমা প্রতি সপ্তাহে তার বাবা-মাকে নিয়ে সুশি এবং পাই খেতে যেতেন। অথচ মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আরনিমা যুক্তরাষ্ট্রে তার আত্মীয়দের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় বিমর্ষ ছিলেন।
আরনিমার মা-বাবা জানায়, কথিত হাইড্রোক্লোরিক এসিড ভর্তি বাথটাবে ডুবিয়ে তাদের মেয়েকে যে ভয়ঙ্কর উপায়ে হত্যা করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তারা বলেন, রীতি অনুযায়ী চিরনিদ্রায় শায়িত করার আগে ‘মেয়ের সুন্দর মুখটা’ তারা দেখতে পারবেন না। কারণ তার শরীরের কেবল মাত্র পায়ের একটি পাতাই বিকৃত হতে বাকি আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে শনাক্তের হার দাঁড়াল ১৮.৮৮ শতাংশে
পরবর্তী নিবন্ধকমছে না স্পিড বোটের বর্ধিত ভাড়া