অস্ট্রেলিয়ার সহজ জয় রইল সেমির সম্ভাবনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

আগের আসরের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পরের ম্যাচে অবশ্য শ্রীলংকাকে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা হাইভোল্টেজ ম্যাচ। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সে ম্যাচটি মাঠে গড়াতে দেয়নি বৃষ্টি। তবে গতকাল আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের সেমিফাইনালের পথে রাখল অস্ট্রেলিয়া। এই হারে আইরিশদের সেমি-ফাইনালের আশা প্রায় শেষ হয়ে গেল। ৪২ রানে আইরিশদের হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে দুটি জয় ও একটি পরিত্যক্ত হওয়ার ফলে ৫ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বর গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো অস্ট্রেলিয়া। এক ম্যাচ কম খেলে তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইংল্যান্ড। চার ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আয়ারল্যান্ড চারে। সমান ২ পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। দুই দলই খেলেছে তিনটি করে ম্যাচ।
ব্রিসবেনের গাব্বায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৩ রান করে ফিরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর মার্শকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন এরন ফিঞ্চ। ৫২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ২২ বলে ২৮ রান করা মিচেল মার্শকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন ম্যাককার্থি। গ্লেন ম্যাঙওয়েলও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ফিঞ্চের সাথে ২৪ রানের জুটি গড়ে ১৩ রান করে ফিরেছেন এই হার্ড হিটার। এরপর স্টয়নিসের সঙ্গে ৩৬ বলে ৭০ রানের আরেকটি জুটি গড়ে দলের স্কোরকে দেড়শর উপরে নিয়ে যান অধিনায়ক ফিঞ্চ। সে সাথে তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ফিঞ্চ। দলকে ১৫৪ রানে পৌঁছে দিয়ে ৪৪ বলে ৬৩ রান করে ফিরেন অসি অধিনায়ক। শেষ দিকে স্টয়নিস ও টিম ডেভিডের ঝড়ে ১৭৯ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। স্টয়নিস ২৫ বলে ৩৫ এবং ডেভিড ১০ বলে করেন ১৫ রান। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ম্যাককার্থি ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
১৮০ রানের বিশাল লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি আয়ারল্যান্ড। প্রথম ৯ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৭ রান তুলে ফেললেও পরের ১৩ বলের মধ্যে ৭ রানে ৫ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ডের ২৫ রানে নেই ৫ উইকেট। অ্যান্ডি বালবার্নিকে বোল্ড করে শুরুটা করেন প্যাট কামিন্স। গ্লেন ম্যাঙওয়েল আক্রমণে এসেই জোড়া শিকার ধরেন পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টরকে ফিরিয়ে। পরের ওভারে মিচেল স্টার্কও প্রথমবার আক্রমণে এসে তুলে নেন কার্টিস ক্যাম্পার ও জর্জ ডকরেলকে। এরপর গ্যারেথ ডেলানির সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন টাকার। ১৪ রান করা ডেলানিকে ফিরিয়ে ৪৪ রানের এ জুটি ভাঙেন স্টয়নিস। এরপর সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে লড়াই করে গেছেন টাকার। তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন টাকার। শেষ দুই ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার যখন ৪৩ রান তখন জস লিটলের রান আউটে অলআউট হয়ে যায় আইরিশরা। তখন আইরিশদের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৩৭ রানে। লরকান টাকার অপরাজিত ছিলেন ৪৮ বলে ৭১ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কামিন্স, ম্যাঙওয়েল, স্টার্ক ও লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ। এই পর্বে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী শুক্রবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদপ্তর উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. অনুপম সেন, সদস্য সচিব বিপ্লব বড়ুয়া
পরবর্তী নিবন্ধ৫ নভেম্বর সিআরবি চত্বরে সমাবেশ সফল করার আহ্বান মেয়রের