ভারত বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে প্রথমবারের মতো দলীয় সংগ্রহ তিন শ পার করেছিল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াকে লক্ষ্য দিয়েছিল ৩০৭ রানের। তবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মিচেল মার্শ. তার ক্যারিয়ার সেরা ১৭৭ রানের ইনিংসে কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট শেষ করল বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে ৯ ম্যাচে মাত্র ২ জয় নিয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে লিটন দাস, তাসকিন আহমেদদের। যদিও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও রান রেটে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস কোনো অঘটন ঘটিয়ে ম্যাচ না জিতলে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেয়ার টিকিট পাবে বাংলাদেশ দল।
রান তাড়ায় নামা অজিদের ইনিংসে শুরুতে ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ।
ডানহাতি পেসার ফেরান ১০ রান করা ট্রেভিস হেডকে। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ডেভিড ওয়ার্নের সঙ্গে ১২০ রানের জুটি মার্শের। ফিফটি করে ওয়ার্নার ৫৩ রানে আউট হলেও বেগ পেতে হয়নি অজিদের।
স্টিভ স্মিথের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মার্শ। পরে দুজন অবিচ্ছেদ্য ১৭৫ রানের জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ৩২ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে মার্শ অপরাজিত থাকেন ১৭৭ রানে। ১৩২ বলের ইনিংসটি সাজান ১৭টি চার ও ৯টি ছয়ের মারে। স্মিথ অপরাজিত থাকেন ৬৩ রানে।
তাসকিন ও মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। উদ্বোধনি জুটিতে যোগ করেন ৭৬ রান। তবে দুজনেই আউট হন ৩৬ রানের ইনিংস খেলে। লিটন-তানজিদ মতো ইনিংসের পূর্ণতা দিতে পারেননি তিনে নামা নাজমুল হোসেন। তিনি রান-আউট হয়ে হন ৪৫ রান করে। ১৭০ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরে তাওহিদ হৃদয় একপ্রান্ত ধরে খেললেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩২) ও মুশফিকুর রহিম (২১) ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। তবে রান তোলার কাজ ঠিকই করে যান ব্যাটাররা। অর্ধশতক করে তাওহিদ ফেরেন ৭৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রানে। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজের ২০ বলে ২৯ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩০৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যা লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।