অজিদের হারিয়ে সেমিতে ভারত, টিকে রইল বাংলাদেশ সুপার এইটে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায়নি বাংলাদেশ। তাই বলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকেও যায়নি।
আগামীকাল ভোরে আফগানিস্তানকে ‘বড়’ ব্যবধানে হারাতে পারলে নাম লেখাবে সেমিফাইনালে। টাইগারদের জন্য এ পথটুকু তৈরি করে দিয়েছে ভারত। অ্যান্টিগায় আজ অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে তারা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
অ্যান্টিগায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রোহিতের বিধ্বংসী ইনিংসে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করেছে ভারত। বিরাট কোহলির পাঁচ বল খেলে শূন্য রানে ফিরে গেলেও আরেক পাশে ঝড় তোলেন রোহিত। মিচেল স্টার্কের করা দ্বিতীয় ওভার থেকে একাই আদায় করেন ২৯ রান। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো ভারতীয় অধিনায়ক ফিরে যান ৯২ রানে সেই স্টার্কের শিকার হয়ে। ৪১ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ৮ ছক্কা মারেন তিনি। এর মাঝে অবশ্য ঋষভ পন্তের সঙ্গে ৮৭ ও সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়েন।
রোহিত চলে যাওয়ার পর শিবাম দুবের ২৮ ও হার্দিক পান্ডিয়ার অপরাজিত ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে দুইশ পার করে ভারত। এছাড়া সূর্য খেলেন ১৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস। অজিদের হয়ে দুটি করে উইকেট পান স্টার্ক ও মার্কাস স্টয়নিস। রানবন্যার ভিড়েও ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড।
ভারতের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। অর্শদীপ সিংয়ের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওয়ার্নার (৬)। সেই ধাক্কার পরও পাওয়ার প্লেতে দারুণ করে অজিরা। অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেডের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারে আসে ৬৫ রান। নবম ওভারে এসে কুলদীপ যাদবের বলে কাটা পড়েন মার্শ। বাউন্ডারি লাইন এক হাতে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন অক্ষর প্যাটেল। ফলে ২৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রানে ফিরতে হয় অজি অধিনায়ককে।
মার্শ চলে গেলেও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যান হেড। ২৪ বলে তুলে নেন ফিফটি। দারুণ কিছুর আভাস দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। কিন্তু তা কেবল ক্যামিও হিসেবেই থাকল। কেননা কুলদীপকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার। তাই ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানে থামেন তিনি।
এরপর কমতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি, পড়তে থাকে উইকেটও। ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হেড অবশ্য আজ নায়ক হতে পারেননি। জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার হয়ে ৪৩ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৬ রানে ফেরেন এই ওপেনার। বাকিটা পথ কেবল হারের ব্যবধানই কমায় অস্ট্রেলিয়া। থামে ৭ উইকেটে ১৮১ রানে। এই হারে সেমিফাইনালে না ওঠার আশঙ্কা আরও বেড়ে গেল তাদের। কেননা বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তান জিতলে বা এক পয়েন্ট পেলে নিশ্চিত করবে সেমিফাইনাল।
৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বর গ্রুপের দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া (রানরেট -০.৩৩৭)। এক ম্যাচ কম খেলে তিনে আফগানিস্তান (রানরেট -০.৬৫০)। আর পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারায় সবার শেষে বাংলাদেশ (রানরেট -২.৪৮৯)।