অস্ট্রিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় কারণে মাথা ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ ছিল। যার বিরুদ্ধে দুই শিশু ও তাদের পরিবার মামলা করলে দেশটির সাংবিধানিক আদালত শুক্রবার ওই আইন বাতিলের পক্ষে রায় দেয়। আদালতের রায়ে বলা হয়, মূলত ইসলাম ধর্মের মেয়েদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে ওই আইন করা হয়েছিল। যা স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। রায়ে আরো বলা হয়, ‘ওই আইন মুলসমান মেয়েদের আচার আচরণের উপর বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ করে দিয়েছিল।’ খবর বিডিনিউজের।
অস্ট্রিয়ার আগের জোট সরকারের (রক্ষণশীল পিপুলস পার্টি তাদের মিত্র চরম ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি) আমলে ওই আইন পাস হয় এবং গত বছর মে মাস থেকে তা কার্যকর হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, তারা মুসলমান মেয়েদের সামাজিক চাপ এবং সহপাঠীদের কাছে বিরূপ আচরণের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে এই আইন করেছে। আদালত তাদের ওই যুক্তি বাতিল করে দিয়ে বলেছে, ওই আইনের মাধ্যমে আসলে ভুল মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বরং যদি সেরকম প্রয়োজন হয় তবে রাষ্ট্রের উচিত এমন একটি আইন তৈরি করা যাতে ধর্ম বা লিঙ্গের কারণে হওয়া ‘বুলিং’ আরো ভালোভাবে প্রতিরোধ করা যায়।