বাংলাদেশে বর্তমানে এসএসসি এবং এইচএসসিতে জিপিএ–৫ এর সংখ্যা ১ লক্ষ.৫০ হাজার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা ৬০ হাজার (প্রায়)। অনেকে ডাবল এ প্লাস পেয়েও কোথাও চান্স পায় না। আবার অনেকে কোনোটাতে এ প্লাস না পেয়েও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। যখন একটা শিক্ষার্থী এসএসসি, এইচএসসিতে এ প্লাস পায় তখন তার বাবা–মা গর্বের সাথে তাকে নিয়ে আনন্দ করে কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় যখন কোথাও চান্স না হয় তখন ঠিক ততটাই তাকে নিয়ে বিদ্রুপ করে। তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট না দিয়ে তাকে নানারকম দোষারোপ করতে থাকে। ফলে তার মধ্যে একটা হীনম্মন্যতা কাজ করে। এমনকি এটার ফলে একজন ছাত্র সুইসাইড এর মতো পথও বেছে নেয়। কিন্তু আমাদের অভিভাবকদের একটু সচেতন হওয়া উচিত। কারণ একজন এডমিশন যোদ্ধা যখন রাত–দিন খেয়ে না খেয়ে, শুধু পড়াশোনার পিছনে ছুটেছে এবং যদি কোথাও চান্স না পায় তখন তার মধ্যে পরিবারের বোঝা, নিজেকে দিয়ে কিছু হবে না এসব ভাবতে শুরু করে। তখন পরিবারের লোকজনদের উচিত তাদের সন্তানদের দোষারোপ না করে তাদেরকে সময় দেয়া, তাদেরকে অনুপ্রাণিত করা, তাদেরকে বুঝানো। আর এভাবেই আমরা এসব অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।
মো. মনিরুজ্জামান মায়াজ
শিক্ষার্থী,
বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।