অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে মাংস বিক্রেতাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। নগরীর বন্দর থানার মধ্যম হালিশহরের কলসি দীঘির পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মাংস বিক্রেতা মো. ঝন্টু মিয়াকে আটক করে। এরপর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে খবর দেওয়া হয়। বাংলানিউজ
অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ও মাংস বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মাংস বিক্রেতাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন গরুটি মুমূর্ষু ছিল। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগমুহূর্তে গরুটি জবাই করে দেওয়া হয়। এরপর মাংস বিক্রির চেষ্টা করেন ঝন্টু মিয়া। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা তাকে ঘিরে ধরেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ আমাদের খবর দেয়।”
গরুটি কেনার রশিদ দেখিয়েছেন উল্লেখ করে মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, “ঝন্টু মিয়া স্বীকার করেছেন গরুটি অসুস্থ ছিল। তাই জরিমানার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মাংসগুলো জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ধ্বংস করা হয়েছে।”
বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শরীফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, “ঝন্টু মিয়া নামে এক মাংস ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য দু’টি গরু নিয়ে এসেছিলেন। একটি গরু জবাই করে বিক্রি করছিলেন। পরে জবাইয়ের জন্য রাখা আরেকটি গরু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে যায়। এ সময় মৃতপ্রায় গরুটি জবাই করে মাংস বিক্রি করছিলেন ঝন্টু মিয়া।”
তিনি বলেন, “বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় বিট পুলিশিংয়ের সদস্যরা আমাদের জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করি। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে তারা এসে ঝন্টু মিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে।”