চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা অসুস্থ এক স্কুল শিক্ষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার হাতে তুলে দিয়েছেন আর্থিক সহায়তা। গতকাল বুধবার সাপ্তাহিক গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক স্কুল শিক্ষককে এ সহায়তা দেন।
জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ বাঁশখালীর খুদুকখালী এলাকার বাসিন্দা। নগরীর চান্দগাঁওয়ের খাজা রোডে তিনি বসবাস করেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তির পর জানতে পারেন– তিনি কিডনি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, স্ট্রোকের ফলে তার খাদ্যনালি ও ফুসফুসে গুরুতর আঘাত লাগে। এ কারণে প্রায় এক মাস ধরে নাকের ভেতর নল দিয়ে নরম ও তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হচ্ছে। এসব ছাড়া তিনি অন্য কোনো খাবার খেতে পারছেন না। আজীবন তাকে নিয়মিত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
সূত্র জানায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবুল কালাম আজাদ। তার অসুস্থতায় পরিবারে চরম আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে তিনি জেলা প্রশাসকের সাপ্তাহিক গণশুনানিতে মানবিক আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছেন।
জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, গতকাল কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের এক শিক্ষার্থীকেও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তার নাম জয়নাল আবেদীন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার পিতা ইসহাক আহমেদ বারী স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। সম্প্রতি তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসা ব্যয় ও পরিবারের অন্যান্য খরচ বহন করা পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। তার এসব কথা শুনে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক তার হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন এবং তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শিক্ষার্থী জয়নাল জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জেলা প্রশাসক ভবিষ্যতেও সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, সরকারি বাজেট সীমিত। ফলে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া সবসময় সম্ভব হয় না। তবু আমি চেষ্টা করি যেন কোনো অসহায় নাগরিক সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ত্যাগ না করেন।












