অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কুৎসিত শকুনের আঁচড়

মেহেরুন্নেছা মেরী | মঙ্গলবার , ২ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ বৈচিত্র্য এবং সম্প্রীতির দেশ। ১৬ কোটি ৯১ লাখ জনসংখ্যার এ দেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকের বসবাস। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই মুসলিম, বাকি ১০ ভাগের মধ্যে রয়েছে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের লোক। জাতি, ধর্ম ও ভাষার পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশে তাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সাধারণত বিঘ্নিত হয়নি। নৃ-গোষ্ঠীগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। যেমন উত্তরে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী আর পার্বত্যাঞ্চলে চাকমা, মারমা, মুরং, হাজং প্রভৃতি বসবাস করে। যুগ যুগ ধরে পারস্পরিক প্রতিবেশী স্বরূপ সম্প্রীতির সাথে বাঙালিদের পাশাপাশি বসবাস করছেন তারা।
বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি। তার তার পরের পরিচয় আমরা কে কোন ধর্মের অনুসারী। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থার শিকল ভেঙে আমরা নির্মাণ করেছি এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। অসম্প্রাদিকতা মানে সকল ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো বা শ্রদ্ধা পোষণ করা। তবে সেটা কোনভাবেই নিজ নিজ ধর্মকে হেয় করে নয়। আজ যাদের ধর্মীয় চেতনা জেগে উঠেছে তারা এত দিন কোথায় ছিলেন? এমন সন্ধিক্ষণে কেন তারা দেশকে পশ্চাদপদে নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন?
আজ যাদের ধর্মীয় চেতনা জেগে উঠেছে তারা কেন ভুলে যাচ্ছে কোরআান ও রাসুলের আদর্শ? দেশে আইন আছে, সংবিধান অনুযায়ী আইনের প্রয়োগ আছে, আইন কেন তারা নিজের হাতে তুলে নিবে? দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উন্নয়নের পিনাকলে উঠে যাচ্ছে ঠিক এমন সন্ধিক্ষণে কেন তারা দেশকে পশ্চাদপদে ঠেলে দিচ্ছে? এরা কারা? সম্প্রতি দুর্গাপূজার উৎসবমুখর পরিবেশকে যারা বিষাদময় করে দিয়েছে তাদেরকে জানাই আমার ঘৃণা আর অভিসম্পাত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপরাজনীতির দাবার গুটি না হয়ে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও দেশপ্রেমের রাজনীতিতে দীক্ষিত হবে হবে
পরবর্তী নিবন্ধতুমিত্ব