নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ভোক্তা বান্ধব সঠিক আইন করে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া যারা অসাধু তাদেরকে বড় অংকের জরিমানা করতে হবে। চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার চিনির শুল্ক কমিয়েছে। শুল্ক কমানোর পর পর দাম আরো বেড়ে গেলো। এখানে গুটিকয়েক চিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরেকটি বিষয় হলো–ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ টাকা হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখানে চার পাঁচটি মনোপলি করে খাদ্য ও বাচ্চার দাম বাড়িয়েছে। এছাড়া বেকারিগুলোতে ফুড গ্রেড রং ব্যবহার করার কথা। কিন্তু সেখানেও খরচ কমানোর জন্য বেকারির মালিকরা টেক্সটাইল রং ব্যবহার করে ভোক্তাদের প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে।
এখানে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে করে এক দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। যে ব্যবসায়ী অবৈধভাবে কোটি কোটি আয় করে তার জন্য এগুলো কোনো টাকা না। দেখা যায়, অভিযান শেষে তারা আবারও আগের অবস্থা ফিরে যায়। ভেজাল খাবার খেয়ে মানুষের কিডনি নষ্ট হচ্ছে, হৃদরোগ হচ্ছে। মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। এদের পুরো মূলধনই জরিমানা করা উচিত। তাই আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি–ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে কঠোর আইন ও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করা হোক।