গত কয়েক বছরের তুলনায় আমাদের দেশে এবার অতিরিক্ত শীত পরিলক্ষিত হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের ধরন দেখেই বলা যায় যে, এর প্রকোপ খুব সহসায় আরো বৃদ্ধি পাবে। প্রতি বছরেই আমাদের দেশের সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও অসহায় গরীব শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়, যা কয়েকটি মানবিক কাজের মধ্যে অন্যতম।
শীতের মৌসুমে ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি শীত আসার আগেই এমন অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার বস্ত্র নিয়ে দাঁড়াতে পারলে তারা আরো বেশি উপকৃত হবে তথা শীতের প্রকোপ থেকে আরো বেশি রক্ষা পাবে মর্মে প্রতীয়মান হয়। শীত নিবারণের বস্ত্রের অভাবে জ্বলন্ত চুল্লি বা খোলা জায়গায় খঁড়কুটো জ্বালিয়ে শরীরে তাপ নেয়ার সময়ে আমাদের দেশে মাঝে মধ্যেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতও হয়। এর ফলে ব্যক্তির পাশাপাশি দেশেরও প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া অভিজ্ঞ চিকিৎসক মহল মনে করেন যে, অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধিরও উৎপত্তি হয়। মধ্যবিত্ত ব্যক্তিগণ চক্ষুলজ্জার কারণে জনসম্মুখে লাইন ধরে এসব বস্ত্র বা অনুদান গ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে দেখা যায় ফলে তাদেরকে শীতের যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়। কাজেই সৎ মানসিকতা সম্পন্ন দানবীর ব্যক্তিগণ কর্তৃক সর্বাগ্রে এমন মধ্যবিত্ত মানুষদের মাঝে গোপনে সহায়তার হাত প্রসারিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে, বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।