অশ্লিল ছবি ছড়িয়ে তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করার দায়ে নগরীর সিআরবি এলাকা থেকে মো. আব্দুর রহমান (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তিনি লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন যে, মো. আব্দুর রহমানের সাথে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ফেসবুকে ভিকটিমের সাথে পরিচয় হয়। উক্ত পরিচয়ের সুবাদে মো. আব্দুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে হোয়াটসএ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কথোপকথন হয়।
কথোপকথনের সময় মো. আব্দুর রহমান ভিডিওকলে ভিকটিমের বিভিন্ন ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণপূর্বক অসৎ উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করে রাখেন। পরবর্তীতে ভিকটিম মো. আব্দুর রহমানকে বিবাহের কথা বললে সে এই শর্তে বিবাহ করতে রাজী হয় যে, সে তার পরিবারের পছন্দ অনুযায়ী অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে এবং ভিকটিমকেও বিয়ে করবে।
ভিকটিম উক্ত শর্তে রাজী না হলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক শেষ হয়। পরবর্তীতে মো. আব্দুর রহমান বিভিন্ন মোবাইল নম্বর হতে ভিকটিমের সাথে সম্পর্ক রাখতে বলে এবং সম্পর্ক না রাখলে তার মোবাইলে ধারণকৃত বিভিন্ন সময়ের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি ফেসবুকসহ ভিকটিমের আত্মীয়স্বজনের নিকট ছড়িয়ে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে।
ভিকটিম মান সম্মানের ভয়ে আবার তার সাথে সম্পর্ক চলমান রাখতে বাধ্য হয়। এরপর প্রায় সময়ই হোয়াটসএ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ভিডিওকলে ভিকটিমের স্পর্শকাতর ছবি ভিডিও প্রদর্শনের জন্য বাধ্য করতো। বাধ্য হয়ে ভিকটিম পুনরায় কিছু আপত্তিকর ছবি দেয়।
এভাবে প্রতিনিয়ত ভিকটিমকে জিম্মি করে তার ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং শুরু করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম আব্দুর রহমানের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে সে কিছু স্পর্শকাতর ছবি ভিকটিমের আত্মীয়স্বজনের কাছে প্রেরণ করে ভিকটিমের মানহানি করে।
এছাড়া ৩ মার্চ সকালে মো. আব্দুর রহমান ভিকটিমকে সিআরবিতে আসার জন্য বলে এবং না আসলে পুনরায় ছবি ফেসবুকে দিয়ে মানহানি করার ভীতি প্রদর্শন করে।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “ভিকটিম এ কথা আমাদের জানালে আমরা অভিযান পরিচালনা করি।”












