চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চকবাজারে ঐতিহ্যবাহী অলি খাঁ মসজিদের সংলগ্ন সড়কের গোলচত্বরে একটি ইসলামিক মন্যুমেন্ট উদ্বোধন করেছেন। ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় গুরুত্ব বিবেচনায় এ মন্যুমেন্টটি এলাকাবাসীর কাছে একটি বিশেষ নিদর্শন হয়ে থাকবে। ২৫ ফুট উচ্চতার এই মন্যুমেন্টটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা। ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডে মোগল স্থাপত্য অলি খাঁ মসজিদটি অনেক পুরাতন একটি মসজিদ। তাই পৌরানিক স্থাপত্যের নিদর্শন স্বরূপ ইসলাম ধর্মীয় আদলে স্থানটিতে একটি গোল চত্বর করা হয়েছে। ইসলামিক মন্যুমেন্ট অবকাঠামোর উপরে একটি গম্বুজ আছে। এর নিচে কালেমার ক্যালিওগ্রাফি করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘অলি খাঁ মসজিদ চট্টগ্রামের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। অত্যন্ত পুরোনো এই মসজিদটি শুধুমাত্র একটি স্থাপনা নয় বরং এটি আমাদের ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের অংশ। আমাদের ছোটবেলা এই এলাকাতেই কেটেছে। মসজিদটি আমাদের স্মৃতির সঙ্গে মিশে আছে। নতুন প্রজন্ম যাতে এই মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বুঝতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই মন্যুমেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র চট্টগ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে না বরং সারাদেশের মানুষের জন্যও এটি একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, এই মসজিদ চট্টগ্রামের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ। আজকের এই মন্যুমেন্ট নতুন প্রজন্মকে এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানাবে। এটি আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণের অংশ, যা দল–মত নির্বিশেষে রক্ষা করতে হবে। ইসলামিক মন্যুমেন্ট উদ্বোধনের পর মেয়র চকবাজারের বিভিন্ন মার্কেটে ব্যবসায়ীদের মাঝে বর্জ্যের বিন বিতরণ করেন। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। ব্যবসায়ীরা যদি তাদের নিজ নিজ এলাকা পরিষ্কার রাখেন, তাহলে পুরো নগরীর পরিবেশ সুন্দর থাকবে। আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক করতে কাজ করছি, কিন্তু জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব নয়।
মসজিদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মেয়র বলেন, এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আমরা এখানে লিফট স্থাপন এবং বাথরুমের আধুনিকায়ন করতে চাই। একটি অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণ আমাদের লক্ষ্য। ইনশাল্লাহ আমরা এই কাজগুলো শেষ করতে পারব।
মেয়র জানান, অলি খাঁ মসজিদের মতো নগরীর অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সব মসজিদ ও স্থানে এই ধরনের মন্যুমেন্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা অঙিজেন,
কোতোয়ালীসহ আরও কিছু এলাকায় এই কাজ করব। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য আরও উজ্জ্বল হয়ে
উঠবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম, প্রকল্পের পিডি মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, সালাউদ্দিন কায়সার লাভু, এম এ হালিম বাবলু, মহানগর বিএনপির নেতা ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কামরুল ইসলামসহ চসিকের কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।