অলিম্পিকের দ্রুততম মানবী সেন্ট লুসিয়ার আলফ্রেড

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ৫ আগস্ট, ২০২৪ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

একটা সময় দ্রুততম মানব মানবী মানেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেটরা। পরে দাপট শুরু করে করে জ্যামাইকানরা। তাদের যুগেরও অবসান হয়েছে। তবে নতুনভাবে এসে ক্যারিবীয়ান আরেকটি দ্বীপ। এবার সেন্ট লুসিয়া। অথচ এই সেন্ট লুসিয়া অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে আগে কখনো পদই জিততে পারেনি। কিন্তু সেই দেশটির নারী অ্যাথলেট জুলিয়েন আলফ্রেড এমন এক কৃতী গড়লেন যা সোনার হরফে লেখা থাকবে দেশটির ইতিহাসে। গত শনিবার বাংলাদেশ সময় মধ্য রাতে প্যারিস অলিম্পিকে অ্যাথলেটিক্সের নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ পদক জিতেছেন আলফ্রেড। গেমসের অন্যতম সেরা আকর্ষণীয় পদক দিয়ে ইতিহাসে প্রথম পদক তালিকায় নাম ওঠালো ক্যারিবীয়ান দ্বীপ সেন্ট লুসিয়া। জুলিয়েন আলফ্রেড ফিনিশিং লাইন অতিক্রম করার সাথে সাথে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে চিৎকার করতে থাকেন। পরক্ষণেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। গ্যালারিতে অবস্থান করা নিজ দেশের সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে এই উদযাপন করেন ২৩ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট। এবারের অলিম্পিকে নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ফেবারিট ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শাক্যারি রিচার্ডসন। তাকে হারিয়ে আলফ্রেড গড়লেন দেশের জন্য ইতিহাস। জুলিয়েন আলফ্রেড স্বর্ণ জিততে সময় নেন ১০.৭২ সেকেন্ড। পেছনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ডসন সময় নিয়েছেন ১০.৮৭ সেকেন্ড। ব্রোঞ্জও জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট। ১০.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন মেলিসা জেফেরসন। সম্ভাবনা জাগালেও জুলিয়েনে অলিম্পিকের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। ২০২০ টোকিও আসরে ১০ দশমিক ৬১ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে জ্যামাইকার এলানিনে থম্পসন হেরাহর গড়া অলিম্পিকের রেকর্ড অটুট থাকল। ২৩ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট অবশ্য সেন্ট লুসিয়ার হয়ে আগেও কয়েকটি পাতায় ‘প্রথম’ হয়েছেন। ২০১৮ সালে ইয়ুথ অলিম্পিক গেমসে ১০০ মিটারে রুপা জিতেছিলেন তিনি। সেটি ছিল যুব অলিম্পিকে দেশটির প্রথম পদক পাওয়ার ঘটনা। এ বছর ওয়ার্ল্ড ইনডোরে ৬০ মিটারে সেরা হয়েছিলেন জুলিয়েন। সেটিও ছিল বৈশ্বিক কোনো আসরে সেন্ট লুসিয়ার প্রথম পদক প্রাপ্তির গল্প। আলফ্রেড স্বর্ণজয়ের পর আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। ঐতিহাসিক ওই বিজয় তিনি তার প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেন। ১১ বছর বছর আগে তার বাবা মারা গেছেন। আলফ্রেড বলেছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঈশ্বর, আমার প্রশিক্ষক এবং সবশেষে আমার বাবা। আমার বাবার বিশ্বাস ছিলো, আমি এমন কিছু করতে পারবো। তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মঞ্চে তিনি আমাকে দেখতে পাননি। কিন্তু তিনি সবসময়ই তার মেয়ের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অহংকার করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅলিম্পিক টেনিসে জোকোভিচের প্রথম সোনা
পরবর্তী নিবন্ধসাজেক ছেড়েছেন আটকা পড়া পর্যটকরা