৯০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪০ জনকে নিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর কারণে অর্ধেকের বেশি উপস্থিত হতে না পারলেও গতকাল মঙ্গলবার মাস্টার্সের পরীক্ষা নেয় বিভাগ। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানালেও বিষয়টি আমলে নেননি শিক্ষকেরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেকে পরীক্ষা দিতে আসতে পারেনি। তাদের অনেকেই সপরিবারে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলো। এসব বিষয় বিভাগের শিক্ষকদের জানানোর পরও তাতে কর্ণপাত করেনি বিভাগ।
এক পর্যায়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের সমর্থনে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই পরীক্ষা বয়কট করেন। এরপরেও বিভাগের শিক্ষকরা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। শেষ পর্যন্ত ৪০ জনকে নিয়ে রীতিমতো জোর করেই পরীক্ষা নেয়া হয়।
জানা গেছে, মাস্টার্সে অধ্যয়নরত হওয়ার সুবাদে অনেকেই নিজ গ্রামে আবার অনেকে চাকরির সুবাদে ক্যাম্পাস থেকে দূরে অবস্থান করেন। তারা পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষা দিয়ে আবার ফেরত যান।
পরীক্ষার্থী মঈনুল তালুকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমাদের অনেক বন্ধুই আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। আমরা সবাই প্রতিকূল অবস্থার কথা জানিয়ে বারবার শিক্ষকদের অনুরোধ করেছিলাম পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য। সভাপতি স্যারকে ফোন করেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুতেই আমরা শিক্ষকদের মন গলাতে পারিনি। আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে এর একটি সুন্দর সমাধান আশা করছি। যদি দরকার পড়ে প্রয়োজনে দাবি নিয়ে উপচার্যের কাছে জানাব।
আরবী বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ আজাদীকে বলেন, কোনো শিক্ষার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে পড়ার ব্যাপারে কেউ আমাকে কোনো তথ্য দেয়নি। ওরা পরীক্ষা না দেয়ার জন্যই ঘূর্ণিঝড়ের অজুহাত দেখিয়েছিল। বিভাগের শিক্ষকদের সাথে মিটিং করেই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে আমরা বলেছিলাম যে কারো যদি আসতে দেরি হয় তাহলে সে বিষয়টা আমরা বিবেচনা করব। আমরা সকালেই বৈঠক করেছি, তখন শিক্ষার্থীরা প্রথমে না করলেও পরে রাজি হয়। কিন্তু এরপর দেখলাম অনেকে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, আসলে একটা পরীক্ষা স্থগিত হলে পরে সেটা শিডিউল মিলাতে কষ্ট হয়। বিভাগের অন্যান্য কাজ রয়েছে।