অর্থ-সন্ত্রাস ও সততার নির্বাসন

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১০ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বখ্যাত সূফীসম্রাট মওলানা জালালুদ্দিন রুমি প্রদত্ত অমিয় এক বক্তব্য উপস্থাপনে নিবন্ধের সূচনা করছি। তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর। শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো, কন্ঠ উঁচু করে নয়। মনে রাখবে ফুল ফোটে যত্নে, বজ্রপাতে নয়। গতকাল আমি বুদ্ধিমান ছিলাম, তাই পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।’ দেশীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সততা-সত্যবাদিতা-নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধের চরম স্খলনের দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যের সমাহারে প্রতিষ্ঠিত সত্য হচ্ছে; অর্থ-সম্পদই সকল নৈরাজ্যের স্রষ্টা। মওলানা রুমির উল্লেখিত মন্তব্য উপলব্ধিতে বিশ্বকে পাল্টানোর পূর্বে নিজেকে পরিপূর্ণ আবিষ্কার করার মধ্যেই প্রকৃত জ্ঞানের উন্মোচন। এটিও সত্য যে; ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা, শুভ-অশুভ, মঙ্গল-অমঙ্গল, আনন্দ-বিষাদ, আলো-অন্ধকারের ব্যবচ্ছেদ মূল্যায়নে যারপরনাই আর্তনাদে কাতর-যন্ত্রণাদগ্ধ ও ক্ষত-বিক্ষত রক্তক্ষরণে এই ধরিত্রীর প্রতিটি মানবিক মানব ও প্রকৃতির নিত্যানন্দ অনুষঙ্গ।
সামষ্টিক গুণাবলীতে আকাশচুম্বী মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হওয়ার মতো ব্যক্তিবর্গও শুধুমাত্র অর্থ-সন্ত্রাসের কারণে সমাজে অতিশয় অপাংক্তেয়। কারও সম্পর্কে বিস্তারিত ও সম্যক জানার জন্য গভীর সম্পর্ক স্থাপন এবং তথ্য-উপাত্তের বস্তনিষ্ঠ পর্যালোচনা অতীব জরুরি। কর্তাশ্রীত-প্রভাবিত প্ররোচনায় ব্যক্তিমানস নিরূপণ শুধু পাপ নয়; মহাপাপেরই অংশ বিশেষ। সমকালীন সমাজে ব্যক্তিস্বার্থে সৎ ও সত্যবাদীদের বিরুদ্ধে নানামুখি কূট চক্রান্ত বিপুল বিরাজিত। অনবদ্য-শাশ্বত মনুষ্যত্বের বিকাশকে রূদ্ধ করার হীন নিয়ামক হচ্ছে অবৈধ অর্থ-আধিপত্য-দৌরাত্মের কুৎসিত আচরণ। স্বকীয় সত্তার দুর্বলতা-পাপাচার-কদাচার-নষ্টামি-দুর্বৃত্তায়নের হিংস্র প্রবৃত্তিকে লালন করে বিকৃত মনস্তাত্ত্বিক আত্মসন্তুষ্টিতে পরিপুষ্ট কতিপয় ব্যক্তির কারণেই পুরো জাতিরাষ্ট্র হচ্ছে কলুষিত। আত্মসম্মান-আত্মপ্রত্যয় ও আত্মমর্যাদায় নিজেকে বলীয়ান করার মানসে যারা প্রতিনিয়ত জীবন-যুদ্ধে দিনানিপাত করছে, তাদের জীবনগাথা শুধু ধূসর পাণ্ডুলিপির দৃষ্টান্তই নির্মাণ করছে।
অন্যের সমগ্র ইতিবাচক গুণাবলীকে ন্যূনতম সম্মানিত না করে অপপ্রচার-চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের ঘৃণ্য উদ্যোগে সত্যিকার সৎ-বিজ্ঞজনেরা সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন-কোণঠাসার অসম যুদ্ধে বরাবরই পরাজিত। নির্লোভ-নির্মোহ-সামগ্রিক যোগ্যতার মানদণ্ডে উচ্চ মাত্রিকতায় অভিষিক্ত ব্যক্তিত্বগুলো কঠিন এক নিরীহ-অসহায়-অর্থসম্পদবিহীন-বিপর্যস্ত অবস্থান থেকে নরপশুতুল্য দানবদের উম্মাদ তাণ্ডব মোকাবেলায় পরিপূর্ণভাবে পর্যুদস্ত। সংখ্যার দিক থেকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও গুটিকয়েক ব্যক্তির সমন্বয়ে অতিশয় ক্ষুদ্র সংখ্যালঘিষ্ঠদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ-প্রতিকারের সম্ভাব্য আলোয় তাঁরা কখনোই উদ্ভাসিত হতে পারছে না। এ জন্যই মওলানা রুমির অমিত শিক্ষাকে জীবনের পাথেয় হিসেবে বিবেচনায় সভ্যতা-বিমুখতা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে অনুজীব সমরূপে লেখনীর মাধ্যমে ক্ষোভ-ক্রোধ-দ্রোহ ইত্যাদির প্রকাশে অনেকেই নিজেদের নিবেদন করে চলছেন। অবশ্যই কালান্তরে সভ্যতার বিরামহীন মাপকাঠিতে তাঁরা যথার্থ স্থানে প্রজ্বলিত হবেনই- নি:সন্দেহে তা বলা যায়।
জনশ্রুতিমতে হাতেগোনা কতিপয় নষ্ট রাজনীতিক- ব্যবসায়ী- শিক্ষক- চিকিৎসক- আইনজীবী-সাংবাদিকসহ কথিত বুদ্ধিজীবীদের অশুভ-অদৃশ্য পন্থায় দেশের সমগ্র সরকারি-বেসরকারি টেন্ডার বাণিজ্য ও পণ্য ব্যবসা-পুঁজিবাজার-সকল স্তরের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বর্ণচোরা-ছদ্মবেশী ভূমিদস্যু-লুটেরাদের দখলেই অবলীলাক্রমে চলে যাচ্ছে। নিকৃষ্টতম নির্লজ্জ এসব দুশ্চরিত্রের মানুষগুলো ক্ষেত্রবিশেষে বিশিষ্ট শিল্পপতি-রাজনীতিক-চিকিৎসক-বুদ্ধিজীবী-ধর্মীয় চিন্তাবিদ ইত্যাদির মোড়কে দেশকে অনুন্নয়নের অভয়ারণ্যে রূপান্তরে ব্যতিব্যস্ত। অনৈতিক ও অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থের বিনিময়ে অত্যন্ত সুকৌশলে সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যানেজ করে নানা অপকর্ম সম্পন্ন করে চলছে। জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ-আগুন ও বোমা সন্ত্রাস-হত্যা-আত্মহত্যা-কিশোর অপরাধ-নারীর প্রতি সহিংসতাসহ সকল অরাজক-অসামাজিক-অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাজনীতির কূট অনুসরণে দেশকে অস্থিতিশীল করার পিছনে রয়েছে এই অর্থ-সন্ত্রাসের সুপরিকল্পিত কুকর্ম ও কুকীর্তি।
প্রাচুর্য-বিলাস-ভোগবাদের বিপরীতে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অপুষ্টি-অসুস্থতা-দুর্ভোগ নিরন্তর তৈরি করেছে মানবসৃষ্ট দুর্বেধ্য বৈষম্যের পরিধি ও বিস্তৃতি। স্বাধীন মাতৃভূমি বাংলাদেশেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দুরাশয় নিষেবণে নির্মিত হয়েছে কথিত ব্যক্তিখাতে ঘৃণ্য চাতুর্যে শিল্পায়ন-ঋণখেলাপি-অর্থপাচার-অপরাজনীতির অপসংস্কৃতি। সেনাশাসকদের স্বৈরশাসন বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রাক ’৭৪ পর্বে ব্যক্তিখাতে ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ১২ কোটি টাকা। ১৯৭৫-৮১ সালে এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭৬ কোটি টাকায়। উক্ত সময়কালে ঋণ গ্রহণকারী চার হাজার শিল্প প্রকল্পের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ১৯৮২ সালের পরবর্তী নয় বছরে শিল্পখাতে ঋণ বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার কোটি টাকার অধিক। অনুমোদিত এই শিল্প ঋণের সত্তর শতাংশ কোথাও বিনিয়োগ হয়নি। পুঁজি বিনিয়োগ বোর্ডের জরিপ থেকে জানা যায়, ৮৫-৯০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে গড়ে ৭ হাজার ৫ শত ৩১টি অনুমোদিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪ হাজার ৪ শত ২২টির কোন অস্তিত্বই ছিল না।
অতীতে দুর্বৃত্তায়নের মহোৎসবে ঔপনিবেশিক লুন্ঠনের মতই ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা না করে অতি সমাদর পৃষ্ঠপোষকতায় দেশ ধ্বংসের সকল প্রচেষ্টাই প্রণোদিত হয়েছে। মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার জঙ্গি-সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করার কারণে অদম্য অগ্রগতিতে দেশ এগিয়ে বিশ্বপরিমণ্ডলে প্রোদ্ভিন্ন উন্নয়নের প্রশংসিত অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। তাঁরই সুনিপুণ নেতৃত্বে বিগত দশকে গণমাধ্যমের অবাধ তথ্যপ্রবাহের ধারাবাহিকতায় সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনসহ প্রতিবেদন-নিবন্ধের সমাহার দেশবাসীকে সামগ্রিক বিষয়ে অবহিত করার লক্ষ্যে উপাত্ত-পরিসংখ্যানের তাৎপর্যপূর্ণ প্রকাশ ছিল প্রমুদিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটি প্রতিষ্ঠিত যে; অর্থ-সন্ত্রাসের এই বিস্তৃতি শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। অকল্পনীয় দুষ্টপন্থা অবলম্বনে দেশ থেকে অপরিমেয় অর্থ পাচার করে দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সেনাশাসিত স্বৈরসরকার কোন ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলশ্রুতিতে এদের নগ্ন প্রতিপত্তি এতবেশি শক্তিমান হয়েছে; দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-পবিত্র সংবিধান ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুমহান মর্যাদাকে ভূলুন্ঠিত করার দু:সাহস দেখাতেও পিছপা হচ্ছে না। অর্থ পাচারের অস্বাভাবিক চিত্র পর্যবেক্ষণে বিষয়সমূহ অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান।
২৭ নভেম্বর ২০২০ জার্মানির আন্তর্জাতিক ব্রডকাষ্টার ‘ডিডাব্লিউ’র প্রতিবেদন অনুসারে বিগত ১০ বছরে দেশের দু’টি বাজেটের সমপরিমাণ প্রায় সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। অর্থপাচারের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে শীর্ষে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই)’ এর বিগত ২ মের তথ্য মতে, ২০১৪ সালে বিদেশে অর্থপাচার হয়েছে ৯১১ কোটি ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। উক্ত সূত্রে জানা যায়, মূলত: এই অর্থপাচারের যোগসূত্র রচিত হয়েছে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্ডার ভয়েস ও ওভার ভয়েসের অব্যবস্থা উল্লঙ্ঘন। সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫-২০১৪ সময়কালে অর্থপাচারের পরিমাণ ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার যার দেশীয় মুদ্রামান ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। সুইজারল্যান্ডে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘এসএনবি’র ২০১৫ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঐ দেশের ব্যাংকসমূহে বাংলাদেশিদের অর্থ আমানতের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৪ শত ৮ কোটি টাকার বেশি।
বিগত বছর মে মাসে ‘পানামা পেপারস’-এ প্রকাশ পেয়েছে, বাংলাদেশের অন্তত ৫০ ব্যক্তি ও ৫টি প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অফশোর কোম্পানি স্থাপন করেছে। ‘ডিডাব্লিউ’র প্রতিবেদন মতে কানাডায় বেগমপাড়া, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম আর সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পদ-জামানত দেশবাসীকে চরম হতবাক করেছে। কানাডায় অর্থপাচারকারী ২৮ জনের তালিকায় ২৪ জনই সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আর বাকি ৪ জন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ বেসরকারি গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়; কানাডায় বেগমপাড়া খ্যাত অভিজাত আবাসন গড়ে তুলেছে দেশের ধনী ব্যবসায়ী-উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা-প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের স্ত্রী-সন্তানরা যারা বিনিয়োগ ভিসায় কানাডার অভিবাসী হয়েছে। এসব এলাকায় অবৈধ অর্থপাচারকারীদের স্ত্রীরাই সন্তান-সন্ততি নিয়ে সার্বক্ষণিক বসবাস করে আর অর্থের নষ্ট চরিত্রের জঘন্য যোগানদাতা স্বামীরা নিয়মিত যাতায়াতের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
অতি সম্প্রতি বিজ্ঞ আদালতের সুচিন্তিত সুদূরপ্রসারী নির্দেশনা ধারণ করে এসব পাচারকৃত অবৈধ অর্থ ফিরিয়ে এনে দেশের সম্ভাব্য কর্মহীনতার শূন্যতা পূরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। উক্ত অর্থ শিল্প-কৃষিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঈর্ষণীয় অবদান দেশকে অত্যুজ্জ্বল করে তুলবে- এই আশাবাদটুকু ব্যক্ত করা মোটেও অযৌক্তিক নয়। সমগ্র দেশবাসীর মতো আমিও অকুন্ঠ আস্থার সাথে উচ্চারণ করতে চাই, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে গৃহীত উদ্যোগগুলোর অন্যতম বিদেশে অর্থপাচারের ভয়াবহতা নিধনে বাংলাদেশ বিজয়ী হবেই। দেশকে অর্থ-সন্ত্রাসমুক্ত করার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে নিবন্ধের শেষে বরেণ্য কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত ‘রবীন্দ্রনাথের প্রতি’ কবিতার শেষ কয়েকটি পংক্তি উচ্চারণ করতে চাই- ‘তাই আজ আমারও বিশ্বাস,/ “শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস।”/ তাই আমি চেয়ে দেখি প্রতিজ্ঞা প্রস্তুত ঘরে ঘরে,/ দানবের সাথে আজ সংগ্রামের তরে’।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সমাজ-অপরাধবিজ্ঞানী, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধফিনাইল খেয়ে অভিনেত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা