গ্রাহক প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ই কমার্স কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে কী পরিমাণ অর্থপাচার হয়েছে, তা নিরূপণ করে জড়িতদের চিহ্নিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে কাদের অবহেলায় ইভ্যালি, ই অরেঞ্জ, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকম, আলাদীনের প্রদীপ, দালাল প্লাসের মত ই কমার্সের গ্রাহকরা লোকসান ও ক্ষতির মুখে পড়েছে তাদের চিহ্নিত করতে চার সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থ, তথ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক, বিএফআইইউ এর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত তিনটি রিট আবেদনের ওপর শুনানির পর গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব, শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। যেসব ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ই কমার্স মার্কেটপ্লেসের ক্রেতারা গুরুতর লোকসান ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, সেসব ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে চিহ্নিত করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পাশাপাশি ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কী পরিমাণ অর্থপাচার হয়েছে বা আদৌ পাচার হয়েছে কিনা, হয়ে থাকলে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ নিরূপণ এবং পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
একই সঙ্গে ই কমার্স প্লাটফর্মের ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ই কমার্স প্ল্যাটফর্মের কার্যাবলি তদারকি করতে কেন একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে রুলে।