অর্থ আত্মসাতের মামলায় জীবন বিমা করপোরেশন, সীতাকুণ্ড শাখার সাবেক ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. শাহ আলমকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে আট লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় মো. শাহ আলম কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। তবে বয়োবৃদ্ধ বিবেচনায় আপীল দায়েরের শর্তে আবেদন অনুযায়ী তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। মো. শাহ আলম মীরসরাই থানার উত্তর কচুয়া এলাকার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে।
দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহ আলমকে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মোট সাক্ষী ছিল আটজন।
আদালত সূত্রে জানায়, ২০০৫ সালের ২১ জুন জীবন বিমা করপোরেশন, জুবলী রোড শাখার ম্যানেজার (সেলস) পূর্ণেন্দু বিকাশ বড়ুয়া সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, উচ্চমান সহকারী জয়নুল আবেদীন নামের অপর একজনসহ (বর্তমানে মৃত) মো. শাহ আলম জীবন বিমা করপোরেশন, সীতাকুণ্ড শাখা থেকে পেটিকেশন, ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম এবং নবায়ন প্রিমিয়াম ইত্যাদি খাত থেকে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫১ টাকা তছরুপ করে আত্মসাৎ করেছেন। মামলাটি তখন তদন্ত করেন তৎকালীন উপ–পরিদর্শক মো. খুরশিদ আলম। তদন্ত শেষে তিনি একই বছরের ১৬ জুলাই চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত সূত্রে আরো জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ অনুসারে তদন্ত না হওয়ায় ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় দুদক। তদন্ত করেন দুদকের তৎকালীন উপ–সহকারী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সিকদার। তদন্তে তিনি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়ে সত্যতা পেলে মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন। মৃত্যুবরণ করায় দায় থেকে অব্যাহতি পান উচ্চমান সহকারী জয়নুল আবেদীন।