পার্বত্য ফল মেলা এবং ছাগল ও শূকর বিতরণ প্রকল্পের ৬০ লাখ ১২ হাজার ৫শত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের দায়িত্ব থেকে অপসারিত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জেলা পরিষদের সদস্য প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা।
প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরার পক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আফছার হোসেন রনি। ২৭ জুলাই পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া না হলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে মামলা করার কথা উল্লেখ করা হয়।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয় , চলতি বছরের ৩০ জুন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার নির্দেশক্রমে খাগড়াছড়ি রূপালী ব্যাংক শাখা থেকে একটি চেকের মাধ্যমে পার্বত্য ফল মেলা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা প্রথম দফায় ৪৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও একই দিন দ্বিতীয় দফায় পৃথক চেকের মাধ্যমে একই ব্যাংক থেকে ছাগল ও শূকর পালন প্রকল্পের ১৩ হাজার ৮৭ হাজার ৫শত টাকা উত্তোলন করে এবং জেলা পরিষদের অফিস সহকারী আশীষ চাকমার উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করেন। কিন্তু প্রকল্পের আহ্বায়ক হিসেবে প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা অর্থ খরচের ভাউচার–বিল দেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে একাধিকবার লিখিতভাবে ও লোক মারফতে অবগত করা হলেও অর্থ খরচের কোন বিল–ভাউচার দেয়নি। লিগ্যাল নোটিশে এ ধরনের ঘটনাকে দুর্নীতি ও চেয়ারম্যানের দায়িত্বের চরম অবহেলা, বিশ্বাস ভঙ্গ বলে অভিহিত করা হয়।
এদিকে গতকাল বুধবার দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে নোটিশ দেওয়া হলেও তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হননি জিরুনা ত্রিপুরা ও তার স্বামী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেবিলিয়াম রোয়াজা।