অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে আফগানিস্তান

নগদ সংকট

| শনিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী দখল করার পর থেকে দেশটির অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ৩৮ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯.৪ বিলিয়ন ডলারের মজুদ জব্দ করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্ব ব্যাংকও ঋণ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ফ্রান্সভিত্তিক বৈশ্বিক সন্ত্রাস-তহবিল নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স তার ৩৯টি পূর্ণ সদস্য দেশকে তালেবানের সম্পদ জব্দ করার জন্য বলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিকাংশই তালেবান শাসনকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানকে ‘ইসলামিক আমিরাত’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের। জানা গেছে, দেশটিতে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে এবং আর্থিক সংকট দ্রুত একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। জাতিসংঘ এই সপ্তাহে আফগানিস্তানের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সতর্ক করে দিয়েছে যে জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ শিগগিরই দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যেতে পারে। জানা গেছে, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই আফগানিস্তানে একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি ছিল। কারণ গত ২০ বছরে অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে খুব কম সময় বা মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশটির বেশিরভাগ অর্থ নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক বিষয়ে ব্যয় করা হয়েছিল। বেশিরভাগ তালেবান সদস্য নিজেরাই কয়েক মাসে অর্থ পাননি বলে জানা গেছে। এর ফলে, প্রধান শহরগুলির বাইরের অঞ্চলে পদাতিক সৈন্যদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সামান্য খাবারের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে এবং ট্রাকে বা যেখানেই উপযুক্ত আশ্রয় রয়েছে সেখানে ঘুমানোর জন্য পাতলা কম্বল বহন করে। সূত্র বলছে, তালেবান সদস্যরা স্থানীয়দের কাছ থেকেই খাবার পান। তারা কমান্ডারদের কাছ থেকে নগদ পয়সাও পান যখন তারা নতুন অঞ্চল দখল করেন বা নগদ খুঁজে পান। অনেক অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, একটি অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি- যা হাওয়ালা ব্যাংকিং সিস্টেম নামে পরিচিত – নতুন সরকারসহ আফগানদের জন্য ভাসমান থাকার একমাত্র উপায় হতে পারে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর পরাজয়ের পর থেকে অনেক আফগান পুরুষ বেকার এবং বেতন পাননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেনিয়ার ফুটপাতে আরেক ‘বিদ্যাসাগর’
পরবর্তী নিবন্ধটেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর ভূমিকা চান শেখ হাসিনা