অর্থনীতি ও ব্যাংকের সম্পর্ক ব্যাখ্যায় ৩ মার্কিনির নোবেল

| মঙ্গলবার , ১১ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

অর্থনীতিতে ব্যাংকের ভূমিকা কতটা, অর্থনৈতিক সঙ্কট এড়াতে ব্যাংকের সুরক্ষা কতটা জরুরি, সেই আন্তঃসম্পর্কে আলো ফেলে নোবেল পুরস্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন অর্থনীতিবিদ।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস গতকাল সোমবার অর্থনীতিতে চলতি বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে বেন এস বেরনানকে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ফিলিপ এইচ ডিবভিগের নাম ঘোষণা করে। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা। খবর বিডিনিউজের।
এই তিনজনের মধ্যে বেন এস বেরনানকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভারের সাবেক প্রধান। যে কাজের জন্য তারা ২০২২ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতলেন তার সূচনা হয়েছিল ১৯৮০’র দশকের শুরুর দিকে। তারা তাদের গবেষণা কাজের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন, আর্থিক বাজার নিয়ন্ত্রণে এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ব্যাংক কতটা ব্যবহারিক গুরুত্ব বহন করে।
সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার সময় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে বলা হয়, অর্থনীতিতে ব্যাংকের ভূমিকা কী তা আমাদের আরো ভালোভাবে বোঝাতে বেন এস বেরনানকে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ফিলিপ এইচ ডিবভিগের কাজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তাদের গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান হল কেন ব্যাংকের পতন এড়ানো জরুরি। একাডেমির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, বেরনানকে পরিসংখ্যানগতভাবে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন- ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কা থেকে যখন গ্রাহকরা দ্রুত তাদের আমানত তুলে নিতে শুরু করেন (ব্যাংক রান) তখন গ্রাহকদের এই আচরণই ব্যাংককে পতনের দিকে ধাবিত করে। কারণ, যত বেশি গ্রাহক তাদের আমানত তুলে নেবেন ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা তত বাড়বে। এই প্রক্রিয়াতেই ১৯৩০’র দশকে একটি অপেক্ষাকৃত সাধারণ মন্দার আশঙ্কা তীব্র অর্থনৈতিক মন্দায় পরিণত হয়েছিল। যেটিকে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে নাটকীয় এবং গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট বলে বিবেচনা করা হয়। ‘ব্যাংক রান’ বা ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কা তাই সহজেই একটি অবশ্যম্ভাবী ঘটনায় পরিণত হয় উঠতে পারে এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে ধসিয়ে দিতে এবং পুরো আর্থিক খাতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
কীভাবে এই ঝুঁকি এড়ানো যায় সেই পরামর্শ দিতে গিয়ে একাডেমি থেকে বলা হয়, আমানত বীমা প্রদানের মাধ্যমে এবং ব্যাংকগুলিকে চরম বিপদের সময় ঋণদাতার ভূমিকা গ্রহণের মাধ্যমে সরকার অর্থনীতির বিপজ্জনক ওই গতিশীলতা প্রতিরোধ করতে পারে।
আর্থিক নীতির পরিবর্তন কতটা কীভাবে প্রভাব ফেলে, সেই কার্যকারণ সূত্র বুঝতে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকে গবেষণার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে গতবছর অর্থনীতির নোবেল পান ডেভিড কার্ড এবং জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট ও গুইডো ডব্লিউ ইমবেনস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশত ফানুসের আলোয় আলোকিত আকাশ
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল