অর্থনীতিতে ৫টি বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন হোসেন জিল্লুর

| রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে ৫টি বড় চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করেন ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ এর বোর্ড অব এডিটরসের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। গতকাল শনিবার সকালে সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ এর ৬ষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। খবর বাংলানিউজের।

. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির ৫টি বড় চ্যালেঞ্জ আছে জাতির সামনে। একটি হচ্ছে আর্থিক শৃঙ্খলা খাতে ও সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য তৈরি করা। তথ্যের সত্যতা, পেশাদারত্ব এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সন্তোষজনক পর্যায়ে অগ্রগতি হচ্ছে। আর্থিক শৃঙ্খলা খাত, সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থা থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড় করানো হয়েছে। এছাড়া অর্থনীতির চাকা ঘুরতে হবে, অর্থনীতির প্রক্রিয়াগুলো বেগবান করতে হবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এখানে ব্যক্তিখাত থেকে শুরু করে সবার সম্পৃক্ততা আছে। মূল্যস্ফীতি আরেকটা বিষয় এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হলে আমাদের অলিগার্কিক মার্কেট পাওয়ার গত ১৫ বছরের শাসনকালে অন্য স্তরে চলে গিয়েছিল। এরমধ্যে প্রথম দুইটায় সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। তথ্য ও পেশাদারত্ব আগের থেকে উন্নত হচ্ছে, সামনে আরও এগোবে। অন্য বিষয়গুলো আছে তারমধ্যে অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর যে বিষয়টা, সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের একক বিষয় না। সার্বিক দায়িত্ব।

তিনি বলেন, অর্থনীতির চাকাকে আরও বেগবান করা নিয়ে এক ধরনের প্রশ্ন আছে। এখানে ইচ্ছার ঘাটতি নয়, সক্ষমতার সাথে ব্যক্তিখাতকে আরও কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় এবং সবাইকে আরও আস্থার জায়গায় আনতে হবে।

হোসেন জিল্লুর বলেন, আমরা জানি বিনিয়োগ থমকে আছে। সেটা শুধু অর্থনীতি পরিচালনার বিষয় নয়। সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অনেক কিছু আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা একটু কঠিন অবস্থার মধ্যে আছে। চেষ্টা কিন্তু চলছে তবে সফলতা ধীরে আসছে। আরেকটা হচ্ছে অলিগার্কিক (বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে নিয়ন্ত্রণ) মার্কেট পাওয়ার বাস্তবতা হিসেবে বিরাজ করছে। এটাকে মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জ সামনে রয়ে গেছে। ২০২৫ সালে এখানেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদর্শকদের সুরের মূর্চ্ছনায় ভাসালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
পরবর্তী নিবন্ধমূল্যস্ফীতি যা হচ্ছে তাই দেখাচ্ছি, কারচুপি নাই : অর্থ উপদেষ্টা