অরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সুরক্ষিত করবে চসিক : মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে ২০০১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত মানুষ একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখেনি বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ২০০৮ এর নির্বাচনে কিন্তু একটা সূক্ষ্ম কারচুপি আমরা দেখেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন নির্বাচন। ২০১৮ সালের নির্বাচন দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ২৪ সালের নির্বাচন আমিতুমিডামির একটা নির্বাচন হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিকে। গত ১৬১৮ বছর নির্বাচনের নামে তামাশা দেখেছে জনগণ। নির্বাচনের নামে নির্বাসিত করা হয়েছিল। নির্যাতন করা হয়েছিল। মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। সবাই মিলেমিশে একসাথে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চায়। মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। তিনি গতকাল রোববার রোববার সকালে নগরের পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মেয়র শাহাদাতের সাথে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ।

অরক্ষিত বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে যেসব বধ্যভূমি এখনো অরক্ষিত অবস্থায় আছে আমরা সেগুলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পক্ষ থেকে সুরক্ষিত করব। আমরা সামনের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছি। কারণ রাষ্ট্রীয় কিছু বাজেট খুবই দরকার। আমি যখনই কোনো একটা ডিপিপি রেডি করে মন্ত্রণালয় দিচ্ছি সেটা কিন্তু হচ্ছে না, কারণ সেখানে বাজেট সংকট রয়েছে এবং গণতান্ত্রিক কোনো সরকার যদি না আসে কেউ বাইর থেকে এসে ইনভেস্টও করছে না। ইতোমধ্যে আমি অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি এই শহরকে সুন্দর করার জন্য।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মেয়র বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যাদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তারা ছিলেন দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ড। শহিদুল্লাহ কায়সার কিংবা জহির রায়হান বা ডাক্তার আব্দুল আলিম কিংবা গোবিন্দচন্দ্র দেবসহ বুদ্ধিজীবীদের সেদিন হত্যা করা হয়েছিল জাতিকে মেধাশূন্য করতে। তাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় আমরা সেদিন পরিপূর্ণভাবে অর্জন করতে পারব যেদিন মানুষ তাদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে।

তিনি বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সবাই মিলেমিশে উৎসবমুখর পরিবেশে যাকে খুশি তাকে ভোট দেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র সূচিত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসামিটের আজিজ খান ও স্ত্রী-সন্তানের সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক
পরবর্তী নিবন্ধমায়ের আহাজারি, আমার জাহাঙ্গীররে এনে দাও