চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গার ৭ নম্বর ডলফিন জেটিতে বার্থিং নেওয়া এমটি বাংলার জ্যোতি জাহাজে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নাবিকের ঝলসে যাওয়া ও খণ্ড–বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্ফোরণে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ৩৭ বছরের পুরনো জাহাজটির সামনের অংশ পুরোপুরি উড়ে গেছে। তবে ভাগ্যক্রমে জাহাজটির হ্যাজে আগুন লাগেনি। এতে করে জাহাজটিতে থাকা অন্তত ৮৫ কোটি টাকা দামের ক্রুড অয়েল রক্ষা পেয়েছে।
ঘটনা তদন্তে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দাখিল করেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বিএসসিকে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের পরামর্শের পাশাপাশি পুরনো জাহাজ দুটির ওপর লাইটারিংয়ের নির্ভরতা কমিয়ে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) দ্রুত কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধনের জন্য আবুধাবির এডনক কোম্পানি থেকে কেনা প্রায় ৯৮,৩৮৩ টন মারবান ক্রুড অয়েল নিয়ে মাদার ভ্যাসেল এমটি ওমেরা লিগ্যাসি গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুতুবদিয়ার অদূরে বহির্নোঙরে অবস্থান নেয়। ১৯ সেপ্টেম্বর ওই মাদার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড অয়েল লাইটারিং শুরু হয়। প্রথম লাইটার হিসেবে বিএসসির মালিকানাধীন এমটি বাংলার সৌরভের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল আনা হয়। এরপর আরো চার দফা ক্রুড অয়েল আনা হয়।
পঞ্চম লাইটারিং জাহাজ হিসেবে গতকাল প্রায় ৮৫ কোটি টাকা দামের ১১,৭১৬.৪৪৬ টন ক্রুড অয়েল নিয়ে এমটি বাংলার জ্যোতি ৭ নম্বর ডলফিন জেটিতে বার্থিং নেয়। প্রতি টন ক্রুড অয়েল ৬শ ডলার দরে আমদানি করা হয়েছে। জাহাজটি থেকে প্রায় ৮শ টন তেল খালাসের পর সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে আচমকা বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জাহাজটির সামনের দিকে অবস্থিত ফোর পিক স্টোর (জাহাজের রশি, নোঙর, স্পেয়ার পার্টস রাখার স্থান) হতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে মর্মে তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্ফোরণের সাথে সাথে জাহাজটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তদন্ত কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা বিবেচনায় উক্ত স্থানে এ পরিমাণ দাহ্য পদার্থ জমা হওয়া অস্বাভাবিক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলেছে, বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় জেটি এলাকা। এ সময় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস এবং ইস্টার্ন রিফাইনারির ফায়ার ফাইটিং ইউনিট আগুন নিভানোর কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের টাগবোট কাণ্ডারি ২, ৩, ৪, ৮, ১০ এবং বাংলাদেশ নেভির জাহাজ শিবশা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ পরিচালনা করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সৌরভ কুমার সাহা নামে বাংলার জ্যোতির একজন ডেক ক্যাডেট মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহ। তিনি বিএমএ চট্টগ্রামের ৫৭তম ব্যাচের ক্যাডেট। এছাড়া জাহাজটির ওয়ার্কশপের ফোরম্যান নুরুল ইসলাম ও ক্যাজুয়াল স্টাফ মোহাম্মদ হারুন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সৌরভ সাহার মরদেহ ঝলসে গেছে। অপর দুজনের দেহ খণ্ড–বিখণ্ড হয়ে গেছে। জাহাজটির আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিস তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে বলে কন্ট্রোল রুম সূত্র নিশ্চিত করেছে।
৮৫ কোটির টাকার ক্রুড অয়েল রক্ষা : বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের সময় জাহাজটিতে আমদানিকৃত ৮৫ কোটি টাকার ক্রুড অয়েল ছিল। আগুনে জাহাজটির সামনের দিকের ডেকসহ ব্যাপক অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গেছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ জাহাজের কাঠামো। কিন্তু ভাগ্যক্রমে জাহাজটিতে থাকা ক্রুড অয়েল বোঝাই হ্যাজে আগুন লাগেনি। বিপিসির গঠিত তদন্ত কমিটির একজন সদস্য সরেজমিনে পরিদর্শন করে বলেছেন, ক্রুড অয়েলের মানও অক্ষুণ্ন রয়েছে। ভাগ্যক্রমে এসব তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়েনি বা আগুনে জ্বলেনি। এতে ৮৫ কোটি টাকার ক্রুড অয়েল রক্ষার পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয় থেকেও রক্ষা পাওয়া গেছে। ডলফিন ৭ নম্বর জেটির পাশের দুটি জেটিতে তেল বোঝাই জাহাজ থাকলেও সেগুলো অক্ষত রয়েছে। জাহাজগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে বিপিসি সূত্র জানিয়েছে।
বিপিসির তদন্ত কমিটি এবং দিনে দিনেই রিপোর্ট : জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপিসি ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গতকাল সন্ধ্যার মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশনা দেয়। বিপিসির সচিব এটিএম সেলিম সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই কমিটি গঠন করা হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শরিফ হাসনাতকে আহ্বায়ক ও সংস্থাটির উপ–মহাব্যবস্থাপক (প্ল্যানিং ও শিপিং) মোহাম্মদ মোস্তাফিজার রহমানকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন বিএসসি মহাব্যবস্থাপক (কার্গো সুপারভিশন অ্যান্ড অপারেশন) ক্যাপ্টেন জামাল হোসেন তালুকদার, বিপিসির উপ–মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও অপারেশন) মো. জাহিদ হোসাইন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের উপ–মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন), পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড উপ–মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আসিফ মালিক ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের উপ–মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
কমিটির সদস্যরা গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সন্ধ্যায় তিন পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট ও সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা বিপিসির চেয়ারম্যান বরাবরে প্রদান করেছেন।
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট ও সুপারিশ : বিপিসির তদন্ত কমিটি গত রাতে বিপিসি চেয়ারম্যানের নিকট যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেছে তাতে ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য–উপাত্ত উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বিপিসির সাথে বিএসসির দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, জ্বালানি তেল লাইটারিংয়ের জন্য শুধুমাত্র বিএসসির দুটি অয়েল ট্যাংকার থাকা, ১৯৮৭ সালে ডেনমার্ক থেকে কেনা ট্যাংকার দুটির অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। একটি ট্যাংকার অচল হয়ে যাওয়া এবং অপর ট্যাংকারটির অবস্থাও ভালো না থাকার কথা উল্লেখ করে তদন্ত কমিটির সদস্যরা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং জ্বালানি তেল লাইটারিং অব্যাহত রাখার স্বার্থে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) দ্রুত কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এবং সাথে সাথে গ্রহণ করা কার্যকর পদক্ষেপের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, জাহাজের সম্মুখভাগে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। সাথে সাথে পাম্পিং বন্ধ করা হয়। অতঃপর জেটিতে অবস্থিত ক্রুড অয়েল লাইনের ১৮ ইঞ্চি ডায়া গেট ভাল্ব বন্ধ করা হয় এবং লোডিং আর্মের সাথে জাহাজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুর্ঘটনার সময় ডলফিন জেটি–৬ এবং ডলফিন জেটি–৫–এ ফার্নেস অয়েলবাহী জাহাজ অবস্থান করছিল। দ্রুত জাহাজ দুটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে বাংলার জ্যোতির মুরিং রোপ পুড়ে গিয়ে সেটি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ডলফিন জেটি–৬ এর দিকে চলে আসে। ওখানকার জাহাজটি আগে সরিয়ে না নিলে বিপর্যয় হতো মন্তব্য করে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পরবর্তীতে বন্দর কর্তৃপক্ষের টাগবোটের সহায়তায় এমটি বাংলার জ্যোতিকে পুনরায় ইআরএলের ডলফিন জেটি–৭ এ বার্থিং দেওয়া হয়। ওই সময় ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন ফেন্ডার সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পূর্বে জাহাজটি থেকে প্রায় ৮০০ টন ক্রুড অয়েল খালাস সম্পন্ন হয়েছে ধারণা করে তদন্ত কমিটি বলেছে, বাকি প্রায় ১০ হাজার ৯১৬ টন ক্রুড অয়েল নিরাপদে রয়েছে। এসব ক্রুড অয়েলের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মন্তব্য করা হয়েছে। আগুন হ্যাজে ছড়িয়ে পড়লে জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারত বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
জ্বালানি তেল পরিবহনে শঙ্কা : জাহাজটির যন্ত্রপাতি ঠিক থাকলে ক্রুড অয়েলগুলো অন্য জাহাজে কিংবা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে খালাস করা হবে। স্বাভাবিক নিয়মে জাহাজের ক্রুড অয়েল খালাস করতে সময় লাগে ২২ ঘণ্টা। ক্রুড অয়েল খালাস শেষে বাংলার জ্যোতিকে মেরামতের জন্য সরিয়ে নেওয়া হবে। অপরদিকে বিএসসির অপর লাইটার জাহাজ বাংলার সৌরভ ক্রুড অয়েল বোঝাই করে ডলফিন জেটি–৭ এ বার্থিং নেওয়ার অপেক্ষা করছে। এতে করে মাদার ভ্যাসেলে থাকা অবশিষ্ট ক্রুড অয়েল এককভাবে বাংলার সৌরভ দিয়ে খালাস করতে হবে। এতে করে অনেক বেশি সময় লাগবে। এই দুটি জাহাজের বিকল্প দেশে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে সূত্র বলেছে, এতে দেশের জ্বালানি তেল লাইটারিং সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে।
তদন্ত কমিটির মতামত ও সুপারিশ : বিপিসির তদন্ত কমিটি বিভিন্ন মতামত দিয়ে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও বিদ্যমান লাইটার জাহাজ দুটির ব্যবহারের উপযুক্ততা নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি কারিগরি কমিটি গঠনের জন্য বিএসসিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিএসসির লাইটার জাহাজ বাংলার জ্যোতি ও বাংলার সৌরভ ব্যবহার করে ক্রুড অয়েল লাইটারিং কার্যক্রম পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল খালাসের জন্য সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যে অপারেশন অ্যান্ড মেইটেনেন্স (ওঅ্যান্ডএম) ঠিকাদার নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করা গেলে নিরাপদে ক্রুড অয়েল খালাস করা সম্ভব হবে। এসপিএমের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য (ওঅ্যান্ডএম) ঠিকাদার নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এমটি বাংলার জ্যোতিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব হবে কিনা বা সম্ভাব্য বিকল্প বিষয়ে বিএসসির মতামত গ্রহণ করারও পরামর্শ দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া জ্বালানি তেল খালাসের জেটিসমূহে বিদ্যমান অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার আরও আধুনিকায়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করেছে।
বন্দর চ্যানেল স্বাভাবিক : ডলফিন জেটি–৭ এ দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক। গত রাতে তিনি আজাদীকে বলেন, জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলার জ্যোতিতে অগ্নিকাণ্ডের পর বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সক্ষমতার মাধ্যমে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আগুনে জাহাজটির সামনের সবগুলো দড়ি পুড়ে গেছে। জাহাজটিকে জেটি থেকে আলাদা করা হয়। আশপাশের সব জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জ্যোতিকে নিরাপদ অ্যাঙ্করেজে স্থানান্তরিত করে আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে তা নিশ্চিত করতে দুই পাইলট পাঠানো হয়। জ্যোতি থেকে তেল খালাস করে অন্য জাহাজে নেওয়া হচ্ছে জানান তিনি।