অমৃত সুধা

জয়া দত্ত | বৃহস্পতিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৩ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

পঁচাত্তরের রাস্তা পেরিয়ে

অলিগলি যখনসরু জীর্ণশীর্ণ ক্লেদাক্ত;

পৃথিবীতে এলাম তখন ।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পাকিস্তান স্বৈরতন্ত্র

বাংলাদেশ অভ্যুদয়; কোনোটাই

প্রত্যক্ষ গোচর হয়নি।

রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের খরাকালে

অবিচ্ছেদ্য জরায়ু বাঁধন ছিঁড়ে

প্রথম কান্না

সামাজিক পারিবারিক তথা

মানসিক ও মানবিক

দুর্ভিক্ষের কবলে মাতৃস্তন সুধা;

অসম ক্ষুধা অসম চাহিদা

সমতার টানাপোড়েনেযোগান ও প্রাপ্তির

সুষম বণ্টন আশায়

রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলির আদ্যোপান্ত গিলে

কেঁচেগন্ডুষ বুদ্ধিজীবী হই,

জীবনানন্দের প্রকৃতি প্রেমে মজে

জগদীশ চন্দ্র বসুর ‘গাছেরও প্রাণ আছে’ এই

নৈতিকতার নিরিখে বীজ রোপণ করি

অঙ্কুরোদগম দেখি

বিস্তৃত ডালপালার অঙিজেন নিই

ফল পাই কই!?

যদিও পাইতা মড়কযুক্ত।

সমাধান বিহীন সমস্যায়

আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ——–

রূঢ় বাস্তবতার গায়ে

করাঘাত করি সজোরে;

চিৎকার করতে থাকি বেহুদা গাধার স্বরে

লাথি মার ভাঙরে তালা’

অক্ষম অপদার্থ ননীর পুতুলসম হাতপাগুলো

আমারি বিরুদ্ধাচারণেলাল ঝাণ্ডা তুলে ধরে।

নিরুপায় পিঠ দেয়ালে ঠেকলেও

যৌবনবতী শিরাউপশিরায়

অমৃত নহর বয়

দুর্বিনীত ভ্রষ্টাচারের শিকড় উপড়াতে,

চোখ মেলি শান্ত হই

ক্ষুধা নিবৃত্তির প্রিয় বোধ জাগ্রত করি

স্তনের বোঁটা চুঁইয়েতখনও,

অমৃত সুধা বয়ে চলেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরিবেশ দূষণ রোধে সকলেই সোচ্চার হতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধসভ্যতার শহর জুড়ে