অমাবস্যার অন্ধকারে চুরি করাই তাদের কাজ

চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার, রাউজানে প্রবাসীর বাড়ি থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চুরি করাই তাদের মূল কাজ, তবে প্রতি রাতের বদলে এ জন্য তারা বেছে নেয় অমাবস্যার ঘোর অন্ধকারের রাতগুলো। চন্দ্র মাসের বাকি দিনগুলোতে তারা মোটরসাইকেল চালক হিসেবে ভাড়ায় যাত্রী বহন করে নিজেদের আসল পরিচয় গোপন রাখেন। একই সঙ্গে কোন বাড়িতে চুরি করবেন সেই খোঁজ চালিয়ে যান জেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে। চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন থেকে সংঘবদ্ধভাবে চুরি চালিয়ে যাওয়া এমন একটি চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পেরেছে তাদের এ কৌশল।

রাউজানে এক প্রবাসীর বাড়িতে বড় ধরনের চুরির ঘটনায় গত মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেপ্তারের পর পিবিআই জানিয়েছে, দিনে যেসব ঘর খালি দেখে সেগুলোতে রাতের বেলা চুরি করতে যায়। গ্রেপ্তার চারজন হলেন, মো. হেলাল উদ্দিন (৪৩), মো. সালাউদ্দিন (৩৪), মো. সোহাগ (৩৮) ও আবুল কাশেম বাঁচা (৩২)। এ চক্রের আরেক সদস্য গ্রেপ্তার হেলালের ভাই বেলালকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, চক্রটি হাটাহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় বেশকিছু চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এদের হোতা আবুল কাশেমের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায় হলেও তিনি মীরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়ায় জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার হাটাহাজারী, মীরসরাই ও নগরীর বায়েজিদ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে প্রবাসীর বাড়ি থেকে চুরি স্বর্ণালঙ্কারসহ বেশকিছু মালামাল, চুরির কাজে ব্যবহার করা একটি সিএনজি টেঙি ও দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গত ৮ জুন রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিন নগরের এক প্রবাসীর বাড়িতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। যেখান থেকে চোরের দল বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ধরনের ৫৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করেছে। এ ঘটনায় রাউজান থানায় করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার ওপর অসন্তোষ জানিয়ে বাদী পিবিআইকে মামলার তদন্ত দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করে। আদালতের আদেশে পিবিআই গত ২০ জুলাই কাজ শুরু করে।

পুলিশ সুপার নাজমুল জানান, চুরির রাতে ওই বাড়ির সবাই অন্যখানে দাওয়াতে গিয়েছিলেন। ফাঁকা বাড়ির সুযোগে মূলত চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক ৫৫ ভরি অলঙ্কার চুরির অভিযোগ করেন। তবে চোরদের দাবি চুরি করা অলঙ্কারের ওজন ১৫১৬ ভরি। যেগুলোর পাঁচ ভরি নগরীর কর্নেল হাট এলাকার একটি জুয়েলার্স এবং চার ভরি হাটহাজারীর অপর একটি জুয়েলার্সের মালিকের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাজান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সাঁতাও’
পরবর্তী নিবন্ধডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সচেতনতায় অলংকার মোড়ে লিফলেট বিতরণ