প্রায় দশ বছর আগে দলবদ্ধ হাতির পাল এসেছিল আনোয়ারা-কর্ণফুলী সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়। সেখান থেকে তিনটি হাতি কোরিয়ান ইপিজেড এলাকায় দলছুট হয়ে থেকে যায়। পরে প্রায় সময় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে হাতিগুলো, নষ্ট করে ফসল। এ পর্যন্ত হাতির আক্রমণে নিহত হয়েছেন ১১ জন, আহত হয়েছেন অনেকে। স্থানীয়রা চেষ্টা করেও হাতিগুলোকে গহীন পাহাড়ে ফেরাতে পারেননি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসন থেকে নানান উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় সেই হাতিগুলোকে অভয়ারণ্যে ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তিনি পার্বত্য জেলা থেকে মাহুত এনে হাতিগুলোকে বশে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। খবর বাংলানিউজের।
স্থানীয়রা জানান, হাতিগুলো কর্ণফুলী এলাকায় এসেছে প্রায় ১০ বছর আগে। বিভিন্ন সময় তারা লোকালয়ে নেমে আসে। জমির ফসল ও জানমালের ক্ষতিসাধন করে। কোনোভাবেই হাতিগুলোকে দমানো যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের কাছে কয়েক দফা নালিশ করা হয়েছে। নিরুপায় হয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, হাতিগুলোকে অভয়ারণ্যে ফেরানোর উদ্যোগ নেবেন।
উল্লেখ্য, হাতি রক্ষায় ২০১৯ সালে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। এর মধ্যে চলতি বছর ২০টি হাতি মারা গেছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এছাড়া হত্যা করা হয়েছে ১৩টি। কোনোমতে টিকে আছে ২৬২টি বন্য হাতি। কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বলেন, বিভিন্ন সময়ে হাতির আক্রমণের শিকার অনেক ব্যক্তি আমাদের কাছে বিচার নিয়ে এসেছেন। হাতিগুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের ক্ষতিসাধন করে। আমরা এ হাতিগুলোকে কিভাবে অভয়ারণ্যে ফেরানো যায়, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি।