বলিউড তারকা দম্পতি অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ‘সংসার ভাঙতে বসার’ গল্প বছর ঘুরতে চলেছে। এর মধ্যে জল্পনায় তৃতীয় ব্যক্তির নাম চলে এসেছে। তিনি অভিনেত্রী নিমরত কৌর। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছে নিমরতের জন্যই নাকি ঘর ভাঙছে বচ্চনপুত্র ও পুত্রবধূর। সপ্তাহখানেক ধরে এই ধরনের কথাবার্তা চলার পর নিমরত অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তিনি বলেছেন, অভিষেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে যা কথাবার্তা হচ্ছে সেসব নেহাতই গুজব। এই অভিনেত্রীর ভাষ্য, কোনো বিষয়ে মানুষ কথা বলা শুরু করলে সেটি থামানো সম্ভব নয়। তবে এ ব্যাপারে অভিষেকের কোনো মন্তব্য কোথাও আসেনি। খবর বিডিনিউজের।
ইন্ডিয়া টিভি লিখেছে, এক সাক্ষাৎকারে নিমরত বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে বলছে ‘দশভি’ সিনেমা করার সময় অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল আমার। সবাইকে বলতে চাই, এই কথার কোনো ভিত্তি নেই। এছাড়া গসিপ বন্ধ করার সাধ্যও আমার নেই। আমরা যাই করি না কেন, মানুষ সেই কাজ তাদের পছন্দ মতো গল্পে নিয়ে আসেন। আমি এখন আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি।
অভিষেক ও নিমরতের ‘দশভি’ মুক্তি পায় ২০২২ সালে। ওই সময় অভিষেক–ঐশ্বরিয়ার দাম্পত্যকালের দেড় দশক চলছিল। ওই সময় এক অনুষ্ঠানে দুজন আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। সেখানে অভিষেকের বিয়ের বয়স নিয়ে নিমরত অবাক হয়ে বলেছিলেন ‘১৫ বছর!’ অভিষেক বলেন, হ্যাঁ দীর্ঘ ১৫ বছর। ২০০৭ থেকে ২০২২। অবাক ভঙ্গিতেই নিমরত উত্তর দেন, অসাধারণ।
এর মধ্যে নিমরতের পুরনো একটি সাক্ষাৎকার সামনে এসেছে নতুন করে। সেখানে অভিনেত্রী তার প্রেমিকের নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, তিনি একজন বিবাহিত মানুষ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করছেন তিনি। তাই তাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলে অস্বস্তিতে ফেলতে চাই না। মূলত এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই অভিষেক–নিমরতের সম্পর্ক নিয়ে গুজব ডালপালা মেলেছে।
বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতি হিসেবে নাম ছিল অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার। ২০০৭ সালে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেছিলেন তারা। কিন্তু এই দম্পতির সংসার ভাঙার খবর আসছে গত বছরের শেষ দিক থেকে। এর পর থেকে এই দম্পতি যে বিচ্ছেদের দুয়ারে পৌঁছে গেছেন, তা প্রমাণ করতে কিছুদিন পরপরই ভারতের সংবাদমাধ্যম নানা ধরনের ঘটনা ও তথ্য তুলে ধরছে।
কিছুদিন আগে আঙুলে পরা বিয়ের আংটি দেখিয়ে অভিষেক বলেন, এই দেখুন, আমি এখনো বিবাহিত। আমার সত্যিই কিছু বলার নেই। আমি বুঝতে পারছি, এসব খবর কেন হয়। কারণ আপনাদের প্রতিবেদন লিখতে হয়। ঠিক আছে। আমাদের এসব নিয়ে চলতে হয়। কারণ আমরা তারকা। কিছুদিন আগে দুবাই বিমানবন্দরে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় ধরা পড়া ঐশ্বরিয়ার আঙুলে বিয়ের আংটি দেখা যায়নি। তাই তাদের বিবাহবিচ্ছেদের খবর আরও জোরদার হয়ে ওঠে।