অনেক অপেক্ষার পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের একাদশে প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার ক্লাসিক ব্যাটার লিটন দাস। আর প্রথম ব্যাট করতে নামা কলকাতার পক্ষে ওপেন করতে নেমে নান্দনিক কাভার ড্রাইভে শুরু করেছিলেন। দুর্দান্ত একটা চার মেরে দারুণ সূচনা করেন লিটন দাস। কিন্তু সকালের সূর্য সবসময় দিনের পূর্বাভাস দেয় না। লিটনের বেলায়ও হলো তেমনই। আইপিএলে অভিষেক ম্যাচে সেই চার রানেই বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশের এই ব্যাটারকে। অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দিল্লি ক্যাপিটালস। এদিন চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে কলকাতা। বদল আসে ওপেনিংয়ে। ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়ের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন লিটন। প্রথম ওভারে স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন রয়। প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইকে আসেন লিটন। প্রথম বলেই কাভার ড্রাইভে ইশান্ত শর্মার ডেলিভারিকে বাউন্ডারি ছাড়া করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের দুই বল থেকে অবশ্য রান নিতে পারেননি লিটন। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ফের স্ট্রাইক পান লিটন। কিন্তু এবার নিজের উইকেটই উপহার দিয়ে আসেন তিনি। মুকেশ শর্মার করা শর্ট ডেলিভারিটি অনেকটা বাইরেই ছিল লিটনের। চাইলে ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু পুল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন এই ওপেনার। ব্যাটের কানায় লেগে বল সোজা চলে যায় স্কয়ার লেগে থাকা ললিত যাদবের হাতে। ললিত কোন ভুল করেননি। তাই ৪ বলে ৪ রান করেই ফিরতে হয় লিটন দাসকে। এমন সংগ্রহের পর নিজের অভিষেক ম্যাচটা হয়তো ভুলেই যেতে চাইবেন তিনি। নিজকে যেমন সন্তুষ্ট করতে পারেননি। তেমনি দলের জন্যও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে না পারায় হতাশায় অভিষেক হলো তার আইপিএলে।
এদিকে এই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের একাদশে সুযোগ পাননি বাংলাদেশের আরেক তারকা মোস্তাফিজুর রহমান। তাক বাদ দিয়ে ফিল সল্টকে দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটেলস। এর আগে ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে অনেক নাটকীয়তা পার করে কেকেআর শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন টাইগার ওপেনার লিটন দাস। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ফেসবুক পেইজ থেকে সর্বত্রই দেখা গেছে লিটন বন্দনা। তবে কলকাতা শিবিরে যোগ দেওয়ার পর টানা দুই ম্যাচে একাদশের বাইরেই ছিলেন টাইগার উইকেটকিপার ব্যাটার। অবশেষে তাদের সেই বন্দনা বাস্তবে রূপ পায়। এর আগে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড়ঘণ্টা পর অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচের টস। ফলে রাত ৮টায় ম্যাচ শুরুর কথা থাকলেও একঘণ্টা পর খেলা মাঠে গড়ায়।
