দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে। সামরিক আইন জারি নিয়ে গত শুক্রবার পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে এ প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। তবে ইউনের দলীয় সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে ভোটাভুটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জিত হয়নি। পার্লামেন্টের স্পিকার উ উন–শিক জানান, মোট ১৯৫টি ভোট পড়েছে। প্রয়োজনীয় দুই–তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ২০০ ভোট না হওয়ায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি। ফলে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি। খবর বাংলানিউজের। এর আগে সামরিক আইন জারির ঘোষণায় দেশজুড়ে বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে জাতির উদ্দেশে ক্ষমা চান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম, তবে তা জনগণের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তাদের অসুবিধায় ফেলেছে। এজন্য আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমাপ্রার্থী। ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি জোরালো হয়। শুক্রবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জরুরি বৈঠক করে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে। গতকাল শনিবার পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তবে ইউনের সমর্থক দলীয় সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে প্রস্তাবটি ব্যর্থ হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ইউনের প্রতি আস্থার সংকটকে আরও গভীর করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরল। সরকারবিরোধী দলগুলো এখনও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউনকে আরও রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলা করতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।