সকালের সূর্যের আলো যেমন শিশির কণায় এসে সুন্দর দৃশ্য ধারণ করে। ঠিক তেমনই অভাবের সময় একটি সুন্দর নির্লোভ প্রাণ মনে নতুন ভাবে বাঁচার উদ্দীপনা জোগায়। অভাবের সময় বুঝা যায়, কে আপন আর কে আপন হওয়ার অভিনয় করেছিলো। কিছু পেতে হলে কিছু করতে হবে। কিন্তু কিছু করার মতো সুযোগ যদি দেওয়া না হয় কখনো সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। যাদের আপন ভাবা হতো তারা সবসময় দোষ খুঁজে বেড়াতো।
কোনো একটি দোষ পেলে তাদেরই ছেলে-মেয়েদের শিখিয়ে দিতো কিভাবে মানসিকভাবে হত্যা করা যায়। তারা কখনো সাহায্য এগিয়ে আসে নি বরং উপরে উঠার সিঁড়িটাকে কিভাবে ভাঙ্গা যায় সে চিন্তা করেছে। শুধু এইভবে সম্পর্কটা ঠিকিয়ে রাখা হয়েছে, যে আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা পাপ। কিছু চাওয়ার নয় তাদের কাছে, একটু বাঁচতে চাই মানসিক শান্তি নিয়ে। মরলে তাও দোষ দেওয়া হবে এই বলে যে,‘সে ছিলো এক অকর্মক ব্যক্তি’ কিন্তু এইটা কেউ ভাবে দেখবে না কোনোদিন ‘আমারও চেষ্টার কম ছিলো না, শুধু অভাব ছিলো কাধে হাত রাখার মানুষ। যিনি আমাকে একটা অনুপ্রেরণার রাজ্যের দরজা দেখাবে’ অভিযোগ নেই, অভিমানটা জমে আছে মনের কোণে।
লেখক: শিক্ষার্থী।