নগরীর অভিজাত বিপণিকেন্দ্র ভিআইপি টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের সময় কসমেটিকসের দোকানদাররা দ্রুত দোকান বন্ধ করে পালিয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ভিআইপি টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চলাকালে এমন দৃশ্য দেখা যায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ। অভিযানে একটি বিউটি পার্লার, দুটি কসমেটিকসের দোকান, একটি ফার্মেসি ও একটি খাবারের দোকানকে জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, অভিযানে আমদানিকারকবিহীন বিদেশি কসমেটিকস বিক্রির দায়ে আল–কাহার কসমেটিকসকে ৮ হাজার টাকা, ‘মেইকআপ ম্যান’ নামে একটি কসমেটিকস দোকানে নিষিদ্ধ প্রসাধনী বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করার দায়ে ‘সানন্দ বিউটি পার্লার’কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি সকলকে সতর্কও করা হয়। জরিমানার আওতায় আসা ব্যবসায়ীরা নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করেছেন।
সূত্র জানায়, অভিযান শুরু হতেই মার্কেটের দ্বিতীয় তলাজুড়ে দেখা যায় ছোটাছুটি। হঠাৎ করেই একে একে দোকানের শাটার নামিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যেতে থাকেন অনেকে। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, জরিমানা এড়াতেই তাদের এমন তড়িঘড়ি করে সরে যাওয়া।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ আজাদীকে জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল ভিআইপি টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় কসমেটিকসের দোকান গুলোতে নকল, অবৈধ এবং অনুমোদনহীন বিদেশি প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয় করা হচ্ছে। আমরা অভিযানে গেলে এ সময় প্রায় দোকান দ্রুত বন্ধ চলে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, দোকান বন্ধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আজ যারা দোকান ও পার্লার বন্ধ করে দিয়েছেন পরে সেখানে আবার অভিযান চালানো হবে। আমরা সবাইকে সতর্ক করেছি নকল, ভেজাল, অবৈধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি না করতে। এতে ত্বক ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা আছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও স্যাম্পল বিক্রির দায়ে মেসার্স শুভশ্রী মেডিকেলকে ৭ হাজার টাকা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও মিষ্টির সিরায় তেলাপোকা পড়ে থাকায় দয়াময়ী মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।











